পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি মুফতী সুলতান
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
মুফতী সুলতান মাহমুদ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
সচিপত্র
০০
প্রথম খণ্ড প্রথম অ ধ্যায়ঃ হুরূফে হিজা বা (হরফ (বর্ণ) পরিচিতি প্রথম সবক ও হুরূফে হিজা ঃ (ক) হুফে হিজার পাঠ-নির্দেশিকা
| (খ) হুরূফে হিজা পাঠ দ্বিতীয় সবক ও মুক্তা
(ক) মুক্তার আলােচনা (খ) মুক্তার পাঠ
(গ) মুক্তার সহিত হরফ পরিচয় তৃতীয় সবক ও হরফের বিক্ষিপ্ত রূপ
(ক) হরফের বিক্ষিপ্ত রূপ মাখরাজ সহকারে পাঠ (খ) সমােচ্চারিত হরফের পাঠ ও পার্থক্য।
(গ) চিত্র সহকারে উচ্চারণের বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা চতুর্থ সবক ও হরফে হিজার রূপান্তর
(ক) অরূপান্তরিত হরফের আলােচনা ও পাঠ। (খ) রূপান্তরিত হরফের আলােচনা ও পাঠ। (গ) রূপান্তরিত এবং অরূপান্তরিত হরফের বিক্ষিপ্ত পাঠ (ঘ) রূপান্তরিত হরফ দ্বারা শব্দ তৈরি
অনুশীলনী। দ্বিতীয় অধ্যায় : স্বরচিহ্ন (হরকত, তানভিন, সাকিন ও তাশদীদ)-এর আলােচনা
ও আরবী হরফ ও তার বাংলা প্রতিবর্ণ।
আরবী স্বরচিহ্নের বাংলায় প্রতিচিহ্ন প্রথম সবক , হরকতের আলােচনা
(ক) ফাতহা বা যবরের আলােচনা
(১) ফাতহা বা যবর-এর সাহায্যে হরফ পাঠ
(২) ফাত্হা বা যবর দ্বারা শব্দ শিক্ষা। (খ) কারা বা যের-এর আলােচনা।
(১) কাসূরা বা যের-এর সাহায্যে হরফ পাঠ (২) কাসরা বা যের দ্বারা শব্দ শিক্ষা
* * ৫৫ ৫৬ ৫ ৫ * *
* *
৫ ও ও ও ও ও ১ ১ চোর] (গ) জুম্মা বা পেশ-এর আলােচনা
(১) জুম্মা বা পেশ-এর সাহায্যে হরফ পাঠ
(২) জুম্মা বা পেশ দ্বারা শব্দ তৈরী শিক্ষা
(ঘ) হরকত দ্বারা শব্দ ও বাক্য শিক্ষা দ্বিতীয় সবক ঃ তানভীনের আলােচনা
(ক) দুই যবরের তানভীনের পাঠ শিক্ষা (খ) দুই যের-এর তানভীনের পাঠ শিক্ষা (গ) দুই পেশ-এর তানভীনের পাঠ শিক্ষা
(ঘ) তানভীনের দ্বারা শব্দ পাঠ শিক্ষা। তৃতীয় সবক ? সাকিন বা জযমের আলােচনা
(ক) সাকিন পড়ার নিয়ম। (খ) যবরের সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা (গ) যের-এর সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা (ঘ) পেশ-এর সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা (ঙ) হরকতের সহিত সাকিন পাঠ।
(চ) শব্দের মাঝে সাকিন পাঠ চতুর্থ সবক ? টেনে দীর্ঘ স্বরে পড়ার নিয়ম
(ক) খাড়া যবর, খাড়া যের, উল্টো পেশ ।
(১) খাড়া যবর-এর সাহায্যে হরফ পাঠ (২) খাড়া যের-এর সাহায্যে হরফ পাঠ।
(৩) উল্টা পেশ-এর সাহায্যে হরফ পাঠ (খ) টেনে বা দীর্ঘস্বরে পড়ার নিয়মের পাঠ
(গ) শব্দের সাথে টেনে পড়ার নিয়ম পাঠ। পঞ্চম সক ঃ তাশদীদ বা শাদ্দা-এর আলােচনা। ষষ্ঠ সবক ও হরকত, তানভীন, মাদ্দ, সাকিন ও তাশদীদ দ্বারা বাক্য পাঠ শিক্ষা
অনুশীলনী
দ্বিতীয় খণ্ডঃ তাজবিদ শিক্ষা প্রথম অধ্যায় ও কতিপয় হরফ পড়ার নিয়ম
প্রথম সবকঃ হা জমীর পড়ার নিয়ম ও উদাহরণ দ্বিতীয় সবক ও রা হরফ পড়ার নিয়ম।
তৃতীয় সবক ও আল্লাহ্ শব্দের লাম পড়ার নিয়ম চতুর্থ সংকঃ আলিফ-লাম পড়ার নিয়ম পঞ্চম সবক ও আলিফে যায়িদা পড়ার নিয়ম ও পরিচয় ষষ্ঠ সবক ? তা-য়ে তানীস পড়ার নিয়ম
৪৩
৪৪
৪৭
a
৪৯ সপ্তম সবক ও মুনে কুনী পড়ার নিয়ম অষ্টম সবক ঃ কলা নবম সবক ঃ ওয়াজিব গুন্না পড়ার নিয়ম
দশম সবক ঃ সাত্তার বিবরণ দ্বিতীয় অধ্যায় ঃ নূন সাকিন ও তানৃভীন-এর বিবরণ
প্রথম সবক ঃ ইযহারের বিবরণ দ্বিতীয় সবকঃ ইক্লাব কালব-এর বিবরণ তৃতীয় সবক ঃ ইদৃগামের বিবরণ
চতুর্থ সবক ? ইফার বিবরণ তৃতীয় অধ্যায় ৪ মীম সাকিনের বিবরণ চতুর্থ অধ্যায় ৪ মাদ্দ -এর আলােচনা
(ক) মাদ্দের উদাহরণ মশুক (খ) হরফে মুকাত্ত্বায়াত-এর বিবরণ ও উদাহরণ (গ) ওয়াক্ফের বিবরণ
অনুশীলনী
. তৃতীয় খণ্ডঃ সূরা পাঠ (সূরা আল-ফাতিহা থেকে সূরা আল-ফীল পর্যন্ত)
৬৬-৭০
ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক মহা নেয়ামত। ইহা সকলের জন্য শিক্ষা করা ফরয। আল্লাহ্ তা'আলার নিজস্ব বাণীই হল এই কুরআন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের আধার ও বিশাল ভাণ্ডার জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ বছর ৯ মাস ২২ দিনে মক্কা ও মদীনাতে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর প্রতি ইহা অবতীর্ণ হয়।
আরবী ভাষায় অবতীর্ণ এই কুরআন তিলাওয়াত কিছুটা কঠিন হলেও সঠিক ও শুদ্ধ করে তিলাওয়াতের জন্য রয়েছে নিয়মাবলী । ইহার ভুল তিলাওয়াত অপরাধ ও পাপের কাজ। মহানবী (সা) বলেছেনঃ “এমন অনেক তিলাওয়াতকারী আছে যে কুরআন তিলাওয়াত করে আর কুরআন তার উপর লানত করে।” (আল-হাদীস)
মহানবী (সা) অন্যত্র বলেছেন, “যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করে আল্লাহ্ তাকে প্রতি হরফে দশটি করে নেকী দান করেন।” (আল-হাদীস) হাদীসে আরও বর্ণিত হয়েছে, “কুরআন তিলাওয়াতকারীর পিতা-মাতার মাথায় কিয়ামতের দিন নূরের টুপি পরিয়ে দিবেন।”
| কুরআন শরীফ ভুল পড়লে অর্থের পরিবর্তন হয়, এমনকি নামাযও নষ্ট হয়ে যায়। সঠিকভাবে শুদ্ধ করে কুরআন শিক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে বিভিন্ন প্রকার কিতাবপত্র। এক্ষেত্রে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এ গবেষণামূলক পুস্তকটি দ্বারা পবিত্র কুরআন শিক্ষার জন্য যদি কেহ উপকৃত হয়, তবে আমার শ্রম সার্থক হবে। ইতিপূর্বে আমার যে বইগুলাে প্রকাশিত হয়েছে সে শ্রম আল্লাহর ইচ্ছায় সার্থক হয়েছে।
এ বইটি সকল মহলের জন্য তথা শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা যারা কিছু পড়তে জানে, তাদের সকলের ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে দ্রুত শিক্ষার উপযােগী করে তৈরি করা হয়েছে। ছােট বাচ্চাদের শিক্ষক বই-এর নির্দেশিকা অনুসারে পড়াবে আর শিক্ষিতরা নিজেরা নির্দেশিকা দেখে দেখে পড়বে। বইটির সবকের অংশগুলাে বুঝে বুঝে পড়লে দ্রুত ফায়দা পাওয়া যাবে। অনেক জায়গা সহজবােধ্য করার জন্য চিত্র দেওয়া হয়েছে ।
উল্লেখ্য যে, আমি ‘সুলতানিয়া' পদ্ধতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌখিকভাবে কুরআন শিক্ষা দিতাম। অনেকের অনুরােধে, আগ্রহে, উৎসাহে ইহা গ্রন্থাকারে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলাম। তাতে বন্ধুবর আবুল কালাম আজাদ, মেজর (অবঃ) হারুন-অর-রশিদ বিশেষভাবে
সাহায্য করেছেন। বিশেষ করে মাওলানা আবদুল জাব্বার (মহাসচিব, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা।
* এবার শিক্ষা বাের্ড), ডঃ মুস্তাফিজুর রহমান (ভিসি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), মাওলানা ইমদাদুল হক (খতিব, জাতীয় ঈদগাহ), ডঃ আ, ফ, ম, আবু বকর সিদ্দিক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মাওলানা মাহবুবুল হক (প্রাক্তন হেড মােহাদ্দেস, ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা), ডঃ আবদুর রহমান (বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী), ডাঃ আ ন ম আব্দুল মান্নান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), বিশিষ্ট কারী মােঃ ওবায়দুল্লাহ ও কারী মােঃ ইউসুফসহ অন্যান্য সকলের সহযােগিতার জন্য আন্তরিক মােবারকবাদ জানাই। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালককেও ধন্যবাদ জানাই যে তিনি বইটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছেন।
বিশেষ করে আর যার কথা বলা দরকার সে হল আমার প্রিয় স্ত্রী সুলতানা মনিরা মাহমুদ (মুক্তা), যার সহযােগিতা উল্লেখ করার মত। পিতা-মাতা, ভাই-বােন, শ্বশুর-শাশুড়ী, আত্মীয়-অনাত্মীয় সকলের উৎসাহ ও সহযােগিতার জন্য আন্তরিক মােবারকবাদ জানাই।
' গ্রন্থটি অনলাইনে প্রকাশের একমাত্র উদ্দেশ্য এর দ্বারা ঘরে ঘরে আল-কুরআনের আলাে জ্বলে উঠুক এবং কুরআনের খিদমত দ্বারা আমি আল্লাহ ও রাসূল (সা)-এর রেজামন্দি হাসিল করতে পারি এবং দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে নাজাত ও জান্নাত পাই। - আমীন!
মুক্তী সুলতান মাহমুদ
প্রথম খণ্ড
প্রথম অধ্যায়
|
হুরূফে হিজা বা হর হুরূফে হিজা বা হরফ (বর্ণ) পরিচিতি
| প্রথম সবকঃ হুরূফে হিজা (ক) হুরূফে হিজার পাঠ নির্দেশিকা
১. আরবীতে বর্ণকে হরফ (%), বর্ণমালাকে হুরূফ (৫ ) বলে । আরবী বর্ণ মােট ২৯টি। . এগুলােকে একত্রে হুরূফুল হিজা (• ! ) বলে। এগুলাে প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা ঃ (১) হুরূফে ইল্লাত (_1_) বা স্বরবর্ণ । এগুলাে মােট ৩টি এ-,-। (২) হুরূফে সহীহ )
-- বা ব্যঞ্জনবর্ণ। এরা মােট ২৬টি। যথা ঃ
ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن ه ء
২. আরবী হরফগুলাে উচ্চারণের সময় টেনে টেনে বা দীর্ঘ স্বরে উচ্চারণ করতে হয়। এর মধ্যে যে হরফগুলাে লিখতে আরবী তিন বা ততােধিক হরফ লাগে সে হরফটি তিন আলিফ টেনে বা দীর্ঘ করে উচ্চারণ করতে হয়। বাকীগুলাে এক আলিফ পরিমাণ টেনে বা দীর্ঘস্বরে উচ্চারণ করতে হয়। যেমনঃ জীম (e) লিখতে আরবীতে তিনটি হরফ যথা ঃ - ব্যবহৃত হয়। এভাবে এই হরফগুলাে উচ্চারণের সময় তিন আলিফ পরিমাণ টেনে উচ্চারণ করতে হবে। যেমন ঃ দাল (J+১) ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, আলিফ এবং হামা এ দুটি হরফ লিখতে যদিও তিন হরফের বেশি ব্যবহৃত হয় তাহলেও এগুলাে পড়ার সময় টানা যাবে না।
| ৩. আরবী হরফগুলাের বাংলা উচ্চারণসহ নিম্নে মাখরাজ ও উচ্চারণ স্থানের চিত্র দেয়া হয়েছে। ওস্তাদ (শিক্ষক) যখন ছাত্রদের পড়াবেন তখন প্রত্যেকটি হরফ-এর উচ্চারণ স্থান বা মাখরাজ সহকারে পড়াবেন
এবং যে কেউ পড়ার সময়ও এগুলাে লক্ষ্য রেখে পড়বেন।
৪, আরবী হরফগুলাে বাংলায় লেখার সময় শব্দের মাঝে ড্যাশ (-) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে অর্থাৎ যে হরফটি এক আলিফ টান হবে তাতে একবার এবং যে হরফটি তিন আলিফ টান হবে তাতে তিনবার ব্যবহার করা হয়েছে যাতে শুদ্ধ করে পড়তে বা বুঝতে সুবিধা হয়।
১৪
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
(খ) হুরূফে হিজা পাঠ নিম্নে ছকের মধ্যে হরফ ও উচ্চারণ, মাখরাজ ও চিত্রের বর্ণনা দেওয়া হলাে :
হরফের উচ্চারণঃ → তা- | হরফের উচ্চারণঃ → বা- | হরফের উচ্চারণঃ - আলিফ। হরফের উচ্চারণ স্থান : জিহবার | হরফের উচ্চারণ স্থান ঃ উচ্চারণ | হরফের উচ্চারণ স্থান : আগা ও সামনের উপরের দুই করার সময় মিলিত দুই ঠোট | উচ্চারণের সময় মুখের ও গলার দাঁতের ছানায়ে উলিয়ার গােড়ার | পৃথক হয়ে যাবে।
খালি জায়গার বাতাস দু'ঠোট সাথে লাগিয়ে।
দিয়ে বের করে দেয়া। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
SMT
হরফের উচ্চারণঃ → হা- হরফের উচ্চারণঃ - জী--ম | হরফের উচ্চারণঃ → ছা হরফের উচ্চারণ স্থান ও গলার | হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার | হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিম্বার। মাঝখানে চিকন অস্বাভাবিক স্বরে মাঝখান এবং সেই বরাবর উপরের | আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের উচ্চারিত হবে।।
তালুর সাথে লাগিয়ে গম্ভীর আওয়াজে | ছানায়ে উলিয়ার আগা একত্রে উচ্চারিত হবে।
মিশিয়ে নরম স্বরে উচ্চারিত হবে।। {উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ ।। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ ।
.
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
।
হরফের উচ্চারণঃ → যা---ল হরফের উচ্চারণঃ → দা---ল |হরফের উচ্চারণঃ ১ খা হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহবার হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহবার আগা | হরফের উচ্চারণ স্থান ও গলার আগা সামনের উপরের বড় দুই সামনের উপরের বড় দুই দাঁতের শেষভাগ হতে উচ্চারিত হবে। দাঁতের ছানায়ে উলাইয়ার আগার | গােড়ার সাথে লাগিয়ে টেনে আনতে সাথে মিশিয়ে নরম স্বরে। হবে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ
হরফের উচ্চারণঃ → সী---ন | হরফের উচ্চারণঃ → যা- হরফের উচ্চারণঃ → রা হরফের উচ্চারণ স্থানঃ জিহ্বার আগা | হরফের উচ্চারণ স্থান ঃ জিহবার হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহবার কিনারা ও সামনের নিচের দুই | আগা এবং সামনের নিচের দুই | আগার পিঠ ও বরাবর উপরের ছানায়ে ছুফলা দাঁতের আগার সাথে | ছানায়ে ছুফলা দাঁতের আগার সাথে | তালুর সাথে লাগিয়ে টেনে আনতে মিলিয়ে শিস ধ্বনি সহকারে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়।
হয়। উচ্চারিত হবে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ , উচ্চারণ স্থানের চিত্র ।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ض
شا
হরফের উচ্চারণঃদুয়া--- | হরফের উচ্চারণঃ-সয়া--- | হরফের উচ্চারণঃ →শী---ন। হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার | হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার আগা | হরফের উচ্চারণ স্থান : জিহ্বার কিনারা এবং উপরের যে কোন | এবং সামনের নিচের দুই (ছানায়ে | মাঝখান ও বরাবর উপরের তালুর চোয়ালের মাঢ়ি বা দন্ত পাটি এবং ] ছুফলা) দাঁতের আগার সাথে লাগিয়ে | সাথে লাগিয়ে স্পষ্ট শিস ধ্বনিসহ আওয়াজ 'দ’ ও ‘জ’ এর মাঝামাঝি | উচ্চারিত হবে এবং আওয়াজে কিছুটা উচ্চারিত হবে।। হবে।
| শিস ধ্বনি হবে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ ।। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
| হরফের উচ্চারণঃ - | হরফের উচ্চারণঃ — হরফের উচ্চারণঃ-আই---ন।
হরফের উচ্চারণ স্থান : জিহ্বার | হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহার হরফের উচ্চারণ স্থান ও গলার
আগা ও সামনের উপরের দুই | আগা ও সামনের উপরের বড় দুই মাঝখানে ।
দাঁতের (ছানায়ে উলাইয়ার) আগা | ছানায়ে ছুফলা দাঁতের মাড়ির সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে নরম স্বরে উচ্চারিত | মিলিয়ে উচ্চারিত হবে।
হবে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ \ উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ق
হরফের উচ্চারণঃ → কৃ---ফ | হরফের উচ্চারণঃ – ফা- | হরফের উচ্চারণঃগই---ন হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার | হরফের উচ্চারণ স্থান ও সামনের | হরফের উচ্চারণ স্থানঃ গলার গোড়া ও সে বরাবর উপরের তালুর | | উপরের বড় দুই দাঁতের বা ছানায়ে | শেষভাগ। সাথে লাগিয়ে বড় আওয়াজে উলাইয়া আগা ও নিচের ঠোটের উচ্চারিত হবে।
মাঝখানে মিলে উচ্চারিত হবে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ । এ উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
হরফের উচ্চারণঃ → মী---ম
| হরফের উচ্চারণঃ → লা--ম | হরফের উচ্চারণঃ →কা---ফ। হরফের উচ্চারণ স্থান ও দুই ঠোট
হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার ] হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার একত্রে মিলিয়ে উচ্চারিত হবে।
আগা ও সামনে উপরে বড় দুই | গােড়ার কাছাকাছি একটু উপরে ও ছানায়ে উলাইয়ার দাঁতের মাঢ়ির | সে বরাবর উপরে তালুর সাথে ।
সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হবে। লাগিয়ে উচ্চারিত হবে।
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও ,
১৮
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
হিরফের উচ্চারণ ঃ ২ হা- হরফের উচ্চারণঃওয়া---ও। | হরফের উচ্চারণঃ নূ---ন।
হরফের উচ্চারণ স্থান ও গলার। | হরফের উচ্চারণ স্থান ও দুই ঠোট হরফের উচ্চারণ স্থানঃ জিহ্বার আগা ও প্রথম ভাগ যা বুকের সাথে
উচ্চারণের সময় গােল হয়ে
| সামনের উপরের মাঢ়ি সংলগ্ন তালুর মিলিত ।
{ সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হবে। যাবে।। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ ।। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ও
উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ ।
হরফের উচ্চারণঃ → ইয়া- হিরফের উচ্চারণঃ হামঝাহ্। হরফের উচ্চারণ স্থান ও জিহ্বার মাঝখান ও সে হরফের উচ্চারণ স্থান ও গলার প্রথম রাবর উপরের তালু।
ভাগ বা হা-এর স্থানে। উচ্চারণ স্থানের চিত্র ঃ। উচ্চারণ স্থানের চিত্রঃ
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
| দ্বিতীয় সবকঃ নুতা
(ক) নুতার আলােচনা ? ১. (.) বিন্দুকে আরবীতে মুক্তা বলে। ২৯টি হরফের মধ্যে ১৪টিতে নুতা নেই। সেগুলাে হলােঃ
• • • • • J... ৮. . •• ১..। ১৫টিতে মুক্ত আছে। এই ১৫টি আবার তিন ভাগে বিভক্ত। যথাঃ (১) এক নু যুক্ত ১০টি হরফ। যথা ঃ ১... b. .. ১... (২) দুই মুক্তযুক্ত তিনটি হরফ। যথা ঃ ৪.৪.৩ (৩) তিন নুত্তাযুক্ত দুইটি হরফ। যথাঃ ১.৬ উল্লেখ্য যে, নুতাগুলাে কোনটি হরফের উপরে ও কোনটি হরফের নিচে বসে । এক নুতাগুলাে হলাে : ৮টি-তে হরফের উপরে বসে। যথাঃ ১... ৫. ৪. ;...
| ২টি-তে হরফের নিচে বসে । যথা ঃ .. দুই নুতাগুলাে হলাে ঃ ২টি-তে হরফের উপরে বসে । যথা ঃ ৫.৩
| ১টি-তে ইরফের নিচে বসে। যথাঃ এ তিন নুতাগুলাে হলােঃ ২টি-তে হরফের উপরে বসে। যথা : ১.৩ ২. আরবী হরফগুলাে মুক্তাসহকারে পড়াতে হবে অর্থাৎ প্রথমে আলিফ (1} থেকে ইয়া (s) পর্যন্ত
পড়ানাের পর পুনরায় প্রথম থেকে এভাবে পড়াতে হবে যে, আলিফ (1) খালি, বা (৩)-এর নিচে এক নুতা, তা (৩)-এর উপর দুই নুতা, ছা (৩)-এর উপর তিন নুতা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, আরবী হুরূফে হিজা লেখার জন্য ১৬ প্রকারের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলাে হলাে : ৬. . ... . .. . . - •• ১...! এই সমস্ত চিহ্ন নুতার জন্য বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। এই জন্য নুতার গুরুত্ব খুব বেশি। এ ছাড়াও হরফগুলাে দ্বারা যখন শব্দ গঠন হয় তখন বেশ কিছু হরফ রূপান্তরিত হয় সেখানে নুতা দ্বারা চিনতে হয়। এই সমস্ত কারণে নুতাগুলাে সুন্দরভাবে
পড়াতে হবে।
(খ) নুতার পাঠ ও ছােট ছােট ছেলেমেয়েদের সুর দিয়ে এভাবে পড়াবে। যেমনঃ
আলিফ (1) খালি, বা-(৩)-এর নিচে এক মুক্তা, তা- (৩)-এর উপর দুই মুক্তা, ছা- (৩)-এর উপর তিন মুক্তা। জী---ম (c)-এর নিচে এক নুতা, হা- (+) খালি, খা- ()-এর উপর এক মুক্ত। দা---ল (১) খালি, ---ল (3)-এর উপর এক মুক্তা, রা-১) খালি, ঝা-{})-এর উপর এক নুতা। সী --ন (-) খালি, শী---ন ()-এর উপর তিন নুতা। সয়া---দ () খালি, যয়া--- (১)-এর উপর
২০
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
এক নুতা, ত্ব- () খালি, ঘ-{})-এর উপর এক নুতা। আ’ই---ন (৫) খালি, গাই---ন (৫) -এর উপর এক নুত্তা। ফা- {3)-এর এক নুতা, কা---- ফ (G)-এর উপর দুই মুক্তা, কা ---ফ (d) খালি, লা---ম (J) খালি, মী---ম (,) খালি, নূ---ন (3)-এর উপর এক নুতা, ওয়া---ও (,) খালি, হা (১) খালি, হামাহ () খালি, ইয়া- (s) -এর নিচে দুই মুক্তা। (গ) নুতার সহিত হরফ পরিচয় ও হরফের রূপগুলাে বিন্যস্ত ও বিক্ষিপ্ত আকারে আছে, নুতার সহিত পরিচয় কর ?
| |
اب ت ث ج ح |اء خ ذ ر ز س ش حق ص ض ط ظ ع ای | غ ف ق ك ل م ط از ن و ه ء ي
| |
|
তৃতীয় সবক ঃ হরফের বিক্ষিপ্ত রূপ পাঠ নির্দেশিকা ।
১. এ সবকে হরফের রূপগুলাে বিক্ষিপ্তভাবে দেয়া হলাে তা সঠিকভাবে চিনতে হবে। তবে লক্ষণীয় বিষয় যে, এখানে তিনটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলাে অনুধাবন করে পড়তে হবে। যথা ঃ ১. মাখরাজ বা হরফের উচ্চারণ স্থান, ২. হরফের নুঙ্কা, ৩ মাদ্দ।
২. আরবী হরফগুলাে পড়ার সময় মাখরাজ বা উচ্চারণ সহকারে পড়তে হয়। এইজন্য আরবী ২৯টি হরফের জন্য ১৬টি মারাজ (কোন স্থান হইতে একটি হরফ, কোন স্থান হইতে দু’টি হরফ, কোন স্থান হইতে তিনটি হরফ উচ্চারিত হয়) এবং গুন্নার জন্য একটি মাখরাজ অর্থাৎ মােট ১৭টি মাখরাজ রয়েছে। মাখরাজ হলাে গলার প্রথম থেকে শুরু করে মুখ গহ্বর, ঠোট, নাক, দাঁত ও জিহ্বার এবং গলার বিভিন্ন অংশ যেখান থেকে আরবী হরফগুলাে উচ্চারিত হয়।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
৩, যদিও হরফগুলাে বিক্ষিপ্তভাবে দেওয়া হয়েছে তথাপি ১ম থেকে ১৬তম মাখরাজ পর্যন্ত সবকের ছকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয়েছে। সেগুলাে দেখে দেখে পড়তে হবে এবং পড়াতে হবে। যথাঃ (১) মুখের খালি স্থান থেকে ৩টি মদের হরফ 5,1। (২) গলার প্রথম ভাগ থেকে ২টি হরফ • •1 (৩) গলার মাঝখান থেকে ২টি হরফ ৮। (৪) গলার শেষভাগ থেকে ২টি হরফ ।। (৫) জিহ্বার গােড়া এবং সে বরাবর উপরের তালু থেকে ১টি হরফ । (৬) জিহ্বার গােড়ার নিকটে একটু উপরে এবং সে বরাবর উপরে তালু থেকে ১টি হরফ । (৭) জিহ্বার মাঝখান এবং সে বরাবর উপরের তালু থেকে ৩টি হরফ ও । (৮) জিহ্বার যে কোন পার্শ্বের কিনারা এবং যে কোন পার্শ্বের উপরের চোয়ালের দন্তপাটি কিংবা মাঢ়ি থেকে ১টি হরফ ২ (৯) জিহ্বার আগার উপরের পিঠ এবং সে বরাবর উপরের তালু থেকে ১টি হরফ ;1 (১০) জিহ্বার আগা এবং সামনের উপরের মাঢ়ি সংলগ্ন তালু থেকে ১টি হরফ ১। (১১) জিহ্বার আগা, পিঠ ও সামনের উপরের দাঁতের মাঢ়িতে ১টি হরফ ১। (১২) জিহ্বার আগা ও সামনের উপরের বড় দুই দাঁতের গােড়া থেকে ৩টি হরফ ৮১৬। (১৩) জিহ্বার আগা এবং সামনের উপরের বড় দুই দাঁতের আগা থেকে ৩ হরফ ৩ ; ৮। (১৪) জিহ্বার আগা এবং সামনের নিচের বড় দুই দাঁতের আগা থেকে ৩টি হরফ ;
(১৫। সামনের উপরের বড় দুই দাঁতের আগা ও নিচের ঠোটের মাঝখানে । (১৬) দুই ঠাট থেকে ৩টি হরফ ( উপরের ঠোট) 3 = (১৭) গুন নাকের বাশি থেকে
ক, হরফের বিক্ষিপ্ত রূপ মাখরাজ সহকারে পাঠ ঃ এ সবকে ছাত্র-ছাত্রীদের হরফ ধরা নিবে যে, হরফ
চিনতে পারে কি না? এর ১ থেকে ১৬ নং মাখরাজ চিনাবে। আগের সবকে মাদ্দ ও নুতার সাথে
পরিচয় হয়েছে। সেগুলাে সহকারে পড়বে ও স্মরণ রাখবে।'
ও । মদের হলে
| ©
. [9] গ্রি) খ্রি.।
2
)
1.y• ৩. . ৬
২২
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
খ, সমােচ্চারিত হরফের পাঠ ও পার্থক্য ঃ এখানে সম উচ্চারিত হরফগুলাে একত্রে আনা হলাে, এর
পার্থক্য বুঝে গুরুত্বের সহিত পড়তে হবে।
পাঠ
و
|
| ৫ | ৮ | ৫ | ৬ |
|| ৬ |
] |
পার্থক্য ঃ তা (৩)-এর উচ্চারণের সময় আওয়াজ বারিক বা পাতলা হবে। ত্ব (৮)-এর উচ্চারণের সময় আওয়াজ কিছুটা পুর বা মােটা হবে। হাম {}-এর উচ্চারণ গলার প্রথমভাগ স্বরাঘাত হবে । আই---ন (+)-এর উচ্চারণ গলার মাঝখান থেকে হবে। হ (+) (যেটাকে ছােট হা বলা হয়)-এর উচ্চারণ গলার মাঝখান থেকে। হা (১)-এর উচ্চারণ গলার প্রথমভাগ থেকে। যা--- (3}-এর উচ্চারণ কিছুটা নরম হবে ।। য {}-এর উচ্চারণ পাের হবে। ঝা {;)-এর উচ্চারণ আওয়াজ কিছু কঠিন স্বরে। ছা (৩)-এর উচ্চারণে নরম স্বরে। সীন--- (+)-এর উচ্চারণে একটু বেশি শিস ধ্বনি হবে। স্বয়া---দ (৩)-এর উচ্চারণে নরম শিস ধ্বনি হবে এবং গােল হবে। কা---ফ (G)-এর উচ্চারণে আওয়াজ পাের হবে। কা--ফ (d)-এর উচ্চারণে আওয়াজ স্বাভাবিক বারিক পাতলা হবে। চিত্র সহকারে উচ্চারণের বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা ও মাদ্রাজ বা উচ্চারণ স্থান কি তা আগেই বলা হয়েছে। অর্থাৎ ফুসফুস তাড়িত বাতাস বা স্বর গলা, মুখ গহ্বর, জিহ্বা, দাঁত, ঠোট ও নাক বিভিন্ন স্থানে স্বর ঘাত হয়ে বর্ণ বা আরবী হরফ উচ্চারিত হয় সেটাই সে বর্ণের মাখরাজ বা উচ্চারণ স্থান। এখানে মাখরাজ বা উচ্চারণ স্থানগুলাে চিত্রের মাধ্যমে এবং যে সমস্ত হরফ উচ্চারিত হয় সেগুলাে
পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে দেয়া হলাে। মুখের খালি স্থান। গলার
জিহ্বা দাঁত ও জিহবা । দাঁত ও জিহবা | দাত ও ঠোট চিত্র -১ | চিত্র -২। চিত্র -৩ | চিত্র - ৪ | চিত্র – ৫ চিত্র - ৬
১৪ :
সতে
২৯৮
৬
নিচের দু দত | শ
শ
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
২৩
দাঁত উচ্চারণের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এখানে নিয়ে ৩২টি দাঁতের নামসহ চিত্র দেওয়া হলাে।
বত্রিশটি দাঁতের নাম হলাে ঃ মুখের সামনের উপরের বড় দুটি দাঁতের নাম ছানায়ে উলিয়া। তার বরাবর সামনের নিচের দুটি দাঁতের নাম ছানায়ে ছুফলা। এই চারটির চারপার্শ্বের চারটি দাঁতের নাম রুবাইয়া। ইহাকে কর্তন দাঁতও বলে। এর চার পার্শ্বেরচারটি দাঁতের নাম আনইয়াব বাকী ২০টি দাঁতকে অদরাছ বলা হয়। নিম্নে দাঁতের চিত্র দেওয়া হলােঃ
উপরের পাটির দাঁত
নিচের পাটির দাঁত
চতুর্থ সবক ও ইরূফে হিজার রূপান্তর (ক) অরূপান্তরিত হরফের আলােচনা ও পাঠ
আরবী হরফ দ্বারা যখন শব্দ তৈরি করা হয় তখন ২৯টি হরফের মধ্যে ২০টি হরফ ভেঙ্গে যায় বা রূপান্তরিত হয়। কিন্তু ৯টি হরফ, শব্দের মাঝে প্রথমে বা শেষে যেখানেই বসুক এগুলাে রূপান্তরিত হবে
। উক্ত ৯টি হরফ হলাে ঃ
ا د ذ ر ز ط ظ ا و ء
এর মধ্যে আলিফ (1) হরফটি শব্দের প্রথমে এবং মাঝে কখনও মিশে আসে না। যদি শব্দের প্রথমে আলিফের মতন চিহ্ন দেখা যায় তাহলেও সেটা লাম (J) বলতে হবে। যেমন : dj । শব্দের শেষে আলিফ {}} মিশে আসবে যেমন ঃ ১। শব্দের প্রথমে এবং মাঝে আলিফ বসলে পৃথক পৃথক থাকবে। যেমন ঃ
الله , قالوا
দা---ল (১), যা---ল (3), রা (,), (;), ওয়া---ও (,)। এ হরফগুলাে শব্দের প্রথমে মিশে আসবে না। যেমন ঃ ১ দ্বারা শব্দ ১, ও দ্বারা শব্দ , ২ দ্বারা শব্দ J ),; দ্বারা শব্দ , দ্বারা শব্দ ,। এ হরফগুলাে শব্দের মাঝে মিশে আসলেও হরফগুলাে পরে পৃথক থেকে অন্য হরফ বসবে।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
শব্দের শেষে হরফগুলাে মিশে আসবে। যেমন ঃ . . . L . . . হাম { } হরফটি কখনও মিশে আসবে না। কোন একটা চিহের উপর হামযা-কে বসাতে হবে। যেমন ঃ = (+1
| (খ) রূপান্তরিত হরফের আলােচনা ও পাঠ
উল্লেখ্য যে, উক্ত ৯টি বাদে বাকী যে ২০টি হরফ রূপান্তরিত হবে তার প্রত্যেকটি যখন শব্দের প্রথমে বসবে তখন হরফটির মূল অংশসহ অর্ধেক বসবে।
হরফটি যখন শব্দের মাঝে বসবে তখন মূল অংশসহ উভয় দিকে বৃদ্ধি পাবে। হরফটি যখন শব্দের শেষে বসবে তখন তার পূর্ণরূপ বসবে।
নিমের ছকের মধ্যে ২০টি হরফের রূপান্তর পাঠ
হরফের শেষ বা| হরফের মাঝের | হরফের প্রথম || হরফের শেষ বা হরফের মাঝের | হরফের প্রথম
পূর্ণ রূপ । রূপ 1 রূপ || পূর্ণ রূপ 1 রূপ। রূপ
৭
১.
৭ ৭
৩
.
৭
..
.
....
.
৩ ০ ০
| ৭৭ ৭ | M 4 | 11 ||
.
...
..
..
৭ |
..
।
-:|| ৩
|1 | ৭ | ।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
as
(গ) এখানে রূপান্তরিত এবং অরূপান্তরিত হরফগুলাে বিক্ষিপ্তভাবে দেয়া হলাে। নিজেরা সাজিয়ে মাখরাজ, মাদ্দ, নুতা ও হরফের অবস্থান অনুযায়ী পড়বে ও লিখবে ।
غخ
ی
ج - ش
| کا
د
متد ط
ما و
با
|
ص
ازس
ذ ذ ظ
(ঘ) রূপান্তরিত হরফ দ্বারা শব্দ তৈরি
এখানে হরফগুলাে দ্বারা শব্দ তৈরী করা হলাে। রূপান্তরিত হরফগুলাে দ্বারা যখন শব্দ তৈরী করা হয় তখন দুই হরফ দ্বারা শব্দ হলে প্রথম হরফটি প্রথমরূপও শেষ হরফটি পূর্ণরূপ হবে। যেমনঃ ৬; ইত্যাদি
তিন বা ততােধিক হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী হলে প্রথম হরফটির প্রথম রূপ, শেষ হরফটির পূর্ণ রূপ এবং
*
*
IC OIl 317 3G 915 I3 ** (
Rai
|33 صلع . لبغ. يسلم 3
রূপান্তরিত হয় না এমন হরফগুলাে সব সময় একই রূপ বসবে।
এ সবক পড়ার সময় মাজ, মাদ্দ, হরফের রূপান্তরগুলাে বুঝে পড়বে ও লিখবে।
عص
দুই হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী
بت
তিন হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী
تب | جح | جد اطر
| کب
| لم ا نو | هي ايس طصع | فلك | قعل | منو |
يشر
سقم
حطض
لها
تجسد
ثجش ضظعد طفكص قلنني
يسلم ثحشذا
نیظق
ئتجل منهی
| تجد أحطن
هبض
حبز
চার হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী।
النبج
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
পাঁচ হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী
ছয় হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী।
خصطعف
فلکمن | تهئينه
متکلم
ختسصط شظغفه سجضطع | ضبخظر اظتجسی عثخشص | غيسطف اشضظغق
عيثصجط |
تطدلنر ا يهنملم
منهئوی
عجغنحئهم اقكجشبض
سطشضعرا | ضظغقفكلم انهبحثيصع ||
تحثخيجذ
أثجبتجحشسفطصظوا عغقفكلمنهئسی
ظفسخحثبتته
সত, আট, নয় হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী
দশ, এগার, বার হরফ দ্বারা শব্দ তৈরী
অনুশীলনী
৫
প্রশ্ন ১। হুরূফে হিজা কাকে বলা হয় ? উহা প্রধানত কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ আলােচনা কর । প্রশ্ন ২। আরবী হরফ টেনে পড়ার নিয়ম কি? কতটি হরফ তিন আলিফ টেনে পড়তে হয়। আর কতটি
টেনে পড়তে হয় না আলােচনা কর।। প্রশ্ন ৩। আরবী হরফ মােট কতটি ও কি কি বল ও লিখ । প্রশ্ন ৪। হরফগুলাের মধ্যে কতটিতে নুতা আছে ও কতটিতে নুকতা নাই এবং কতটিতে কয় নুতা
আছে উদাহরণসহ আলােচনা কর । প্রশ্ন ৫। আরবী হরফ লেখার জন্য কতগুলাে চিহ্ন ব্যবহার হয়েছে এবং সেগুলাে কি কি লিখ।
মাাজ কাকে বলে? উহা কতটি এবং কি কি লিখ ।। প্রশ্ন ৭। • • । - ৮৩ এ হরফগুলাে উচ্চারণের পার্থক্য বল ও লিখ। প্রশ্ন ৮। মাখুজের চিত্রসহকারে এ হরফগুলাে লিখ ঃ ১৩৮ ও প্রশ্ন ৯। জিহ্বা ও ছানায়ে উলাইয়া দাঁতের চিত্রসহ উচ্চারিত হরফের নাম লিখ। প্রশ্ন ১০। রূপান্তর হয় না কতটি হরফ তা বল এবং লিখ এবং এর মধ্যে চারটি হরফ শব্দের মাঝে
ব্যবহার দেখাও। প্রশ্ন ১১। কতটি হরফ রূপান্তর হয় সেগুলাে বল এবং লিখ । প্রশ্ন ১২। সুন্দরভাবে হাতের লেখার জন্য ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ টি হরফ দ্বারা প্রত্যেকটি তিনটি।
করে শব্দ তৈরী কর ।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
২৭
দ্বিতীয় অধ্যায়
স্বরচিহ্ন, (হরকত, তানভিন, সাকিন ও তাশদীদ)-এর আলােচনা
পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াতকালে বিভিন্ন প্রকার স্বরচিহ্ন দেখা যায়, যেগুলাে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণের প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল না। সহীহ-শুদ্ধ করে তিলাওয়াত করার জন্য উমাইয়া শাসনামলে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন-ইউসুফ কুরআন তৃতীয়বার সংস্কারকালীন সময় এই চিহ্নগুলাে ব্যবহার করেন, যাতে দেখা যায় চার প্রকার স্বরচিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলাে হলাে : ১. হরকত, ২. তানভীন, ৩. সাকিন, ৪. তাশদীদ।
এখানে পৃথক পৃথক ভাবে স্বরচিহ্নগুলাে দ্বারা হরফ ও শব্দের মাঝে ব্যবহার দেখানাে হলাে। উল্লেখ্য যে, এখান থেকে শেষ পর্যন্ত হেযে (বানান) মতন (রিডিং) ভালভাবে লিখে ও পড়ে মশক করতে হবে, যাতে যে কেউ দেখা বা বলার সঙ্গে সঙ্গে পড়তে ও লিখতে পারে।
আরবী হরফ ও তার বাংলা প্রতিবর্ণ
আরবী হরফের প্রতিবর্ণ কোন ভাষাতেই স্পষ্টরূপে হয় না, কেননা আরবী হরফের উচ্চারণের জন্য একটি বিশেষ বিধান রয়েছে, যা অন্য ভাষাতে এর উচ্চারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তথাপি এখানে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিবর্ণ ও চিহ্নগুলাে দেখানাে হলাে যেমন ঃ | বাংলা প্রতি-হরফ | আরবী হরফ || বাংলা প্রতি-হরফ | আরবী হরফ
আ-অ
( |:
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
|
| ")
৩
২
০
–
০
০
০ | | ৩
২৮
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
আরবী স্বরচিহ্নের বাংলায় প্রতিচিহ্ন
ইকার
-আকার
যের
যন্ত্র
- কারের - |-কার সাথে । - - উকার সাথে 'ন' হবে দুই যের Lন' হবে। দুই যবর
- হসন্ত বা 2 |- উকার | ৫ | বি-ঈকার হলন্ত হলাে | সাকিন । | টান হবে | উল্টা পেশ | টান হবে
-আ-কার
-কারের
খাড়া যের T টান হবে | খাড়া যত্ন | সাথে ন’ | দুই পেশ
বদ্ধ আওয়াজ
ওয়াও সাকিন ইয়া সাকিন যের যবরের পরে বর্ণে ডবল পেশের পরে হলে এর পরে হলে শিকার| আলিফ খালি হলো- বা দুইবার তাশদীদ
-কার টান হবে ! টানতে হবে । কার টানতে হবে উচ্চারণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আরবীতে ইয়া সাকিন (3) ডানে । পূর্বের হরফে যের (-)-এর বাংলায় দীর্ঘ-ঈ ) কার এবং ওয়াও সাকিন (;) ও তার ডানে / পূর্বের হরফে পেশ () হলে বাংলায় দীর্ঘ (,) কার ব্যবহৃত হয়।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
প্রথম সবক ঃ হরকতের আলােচনা
পাঠ নির্দেশিকা
১. ফাতহা (যবর), কাসরা (যের), জুম্মা (পেশ)-কে হরকত বলে । যে হরফটির উপর হরকত হবে তার উচ্চারণ ঝটকা (স্বরাঘাত) সহকারে দ্রুত বা স্বরাঘাত দিয়ে উচ্চারিত হবে। আলিফে যখন হরকত হবে তখন সেটাকে হামযা বলতে হবে।
২. পড়ার সময় প্রথমে হরফের উচ্চারণের পর হরকতের উচ্চারণ, অতঃপর পূর্ণধ্বনি উচ্চারিত হবে। পড়ার সময় প্রথমে হেযে (বানান), অতঃপর উচ্চারিত ধ্বনি আলিফ (1) থেকে ইয়া (5) পর্যন্ত পড়তে
হবে ।।
৩, হরকত ব্যবহৃত বর্ণ ও শব্দগুলাে প্রথমে বানান/হেযে করে এবং পরে রিডিং বা মতন খুব ভাল করে পড়ে বুঝে মুখস্থ রাখতে হবে, যাতে ব্যবহৃত বাক্য দেখার সাথে সাথে পড়া যায় ।
| ৪. মনে রাখতে হবে এখানে শব্দ বাক্যের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে তাতে, হরকতের ব্যবহার দেখানাে হয়েছে, অর্থ না হলেও আপত্তি নেই।
ক, ফাহা বা যবরের আলােচনা ও যবরঃ (.)। ফাতহা বা যবর-এর উচ্চারণ বাংলা (1) আকারের মত হয়।
ফাতহা বা যবর সব সময় হরফের উপরে বসে। ফাতহা বা যবর লেখার চিহ্ন হলাে ঃ (-)।
১। ফাতহা বা যবর-এর সাহায্যে হরফ পাঠ
এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ হামযাহ যবর = আ, বা যবর = বা ইত্যাদি । এভাবে বানান করে উচ্চারণ যেমন আ, বা, তা, ছা ইত্যাদি।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
أ ب ت ث ج ||
.
دذرا
ض | ط | ظ |
ص
ش ترافقك لم
د. الد. 3
২। ফাতহা বা যবর দ্বারা শব্দ শিক্ষা
এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ হামঝা যবর আ, বা যবর বা = আবা ইত্যাদি। এভাবে বানান করে উচ্চারণ আবা, বায়া, আহাদা ইত্যাদি। এগুলাে ভালােভাবে মুখস্থ করে শিখবে।
آب | بع
ذگر اجعل |
بع | أحد | أخذ فعل ضرب نصر | رفع درج | دل |
بعثر |
غرم | کتب
قتل | كفر
حرب
খ. কারা বা যের-এর আলােচনা ?
(= )38)
چک- (1351) 13)
Ixel ??II 3 ( f
* 3** (
| 2
যের সব সময় হরফের নিচে বসে । (7 miairs fb Il 3( - ):
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি ১। কাসরা বা যের-এর সাহায্যে হরফ পাঠ
9. 99,9 2 (745 8 2144IR (77 = 3, 31 (%7 = f3bfa |
اب ت ث ج ح
از اس
.
به حد 3 ، هند
هود
- 99 10
د. أحد. 3
هي | |
২। কাসরা বা যের দ্বারা শব্দ শিক্ষা
এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ । হামহ যের ই, বা যের বি = ইবি ইত্যাদি।
بق | إهدإبل
برق |
حجر خرج غرق سجل قفل عرف محد طلب
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
গ. জুম্মা বা পেশ-এর আলােচনা জুম্মা বা পেশ ঃ { }
জুম্মা উচ্চারণ বাংলা উ (,)- কারের মত হয় । পেশ সব সময় হরফের উপরে বসে। পেশ লেখার চিহ্ন হলাে ঃ )।
১। জুম্মা বা পেশ-এর সাহায্যে হরফ পাঠ এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ । হামঝাহ পেশ = উ, বা পেশ = বু ইত্যাদি।
•
•0,1]..
• •
৩
-
. :)
০।
২। জুম্মা বা পেশ দ্বারা শব্দ তৈরী শিক্ষা এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ হামঝাহ পেশ উ, খা পেশ খু = উখু ইত্যাদি।
[ SATTA | | | | |
بسم
| كتب | وجد | | كثر اشرح |
تخرج | ر
حضر
ب رق |
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ঘ. হরকত দ্বারা শব্দ ও বাক্য শিক্ষা
১। এখানে হরকত ফাতহা, কাসরা, জুম্মা (যবর, যের ও পেশ) দ্বারা শব্দ গঠন করা হলাে। শব্দগুলাে প্রথমে বানান করে পরবর্তীতে উচ্চারণগুলাে পড়তে হবে। যেমন ঃ হামৰূহ যবর আয, এ যাল যের যি, ১ নুন যবর না = আযিনা, ইত্যাদি।
محشر | تتر | ځلق | دبر
أذن ابرز
شی
مرض
اية
فعل
قبر | فعل
أجل اخطب تزله |
ا ل ا شر آخر
উল্লেখ্য যে, বানান করার সময় ফাতহা, কাসরা, জুম্মা (যবর, যের ও পেশ)-এর উচ্চারণগুলাে অর্থাৎ -কার, শিকার, কার সঠিকভাবে করতে হবে। যেমনঃ (কুরিয়া) এভাবে বানান করতে হবে।।
২। হরকত দ্বারা বাক্য শিক্ষা
এখানে শুধু বানান ও মতন শিখতে হবে, অর্থের প্রয়ােজন নেই।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
দ্বিতীয় সবকঃ তানভীনের আলােচনা :
পাঠ নির্দেশিকা
১. দুই যবর (.), দুই যের (-), দুই পেশ (৫)-কে তানভীন বলে।
২. তানভীনের উচ্চারণে একটা -ন- আসে। যে হরফে তানভীন আসে সে হরফে উচ্চারণ হল । যেমন ঃ বা-আলিফ দুই যবর (৫) বান, তা-আলিফ দুই যবর ( 6 ) তান। বা-দুই যের (৩) বিন, তা-দুই যের (৩) তিন। বা-দুই পেশ (৬) বুন, তা-দুই পেশ { } তুন ইত্যাদি।
৩. তানভীন প্রায় সব সময় শব্দের শেষে বসে। থামা বা অফ অবস্থায় দুই যের এবং দুই পেশের তানভীন সাকিন হয়ে যাবে। কিন্তু দুই যবরের তানভীনে এক আলিফ টেনে পড়তে হবে। এ ছাড়া তানভীন পড়ার ৪টি নিয়ম আছে, যা পরবর্তীতে আলােচনা করা হবে। উল্লেখ্য যে, দুই যবরের তানভীনের শেষে সব সময় একটা আলিফ হয়।
ক. দুই যবরের তানভীনের পাঠ শিক্ষা ইহা পড়ার নিয়ম হলাে। যেমন ঃ হামঝা দুই যবর (1) আন, বা-আলিফ দুই যবর (৩) বান ইত্যাদি।
جا
جا
ا
ا ا ا ا ا ادا اذا ارگ زگ | سا
مما
ضا ط | ظا ها اقا گالأما
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
اد
(খ) দুই যের-এর তানভীনের পাঠ শিক্ষা
| fx 3off (ب) %) 9- ,% (أ) 77 %
(TI | GTA 4 %144p
f
به 321
ه
طلاگ
: لا
مه لن 5
سل
(গ) দুই পেশ-এর তানভীনের পাঠ শিক্ষা
(ঘ) তানভীনের দ্বারা শব্দ পাঠ শিক্ষা
با | معا | هدى | أبدا | جدا ارشد | ذهب | گرما ظننا شعب گذب لبشر
ريم | غبرة علقة همزة قطر
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
তৃতীয় সবক ও সাকিন বা যমের আলােচনা
| ১. আরবী সাকিন বা যম লেখার চিহ্ন হলাে (১৯৮৫) এগুলাে । সাকিন বা যম সব সময় হরফের উপরে বসে। এবং এর উচ্চারণ বদ্ধ আওয়াজের ন্যায় অর্থাৎ বাংলায় হলন্ত বা হষন্তের মত উচ্চারণ হয়। যেমন ঃ বাংলায় শব্দের মাঝে কোন বর্ণে যদি “কার” না থাকে তার উচ্চারণের মত হবে। যেমন ঃ হাত (%), হাব (২১) ইত্যাদি।
২. সাকিন যে হরফের উপর বসে সে হরফটি তার, পূর্বের হরফের সাথে মিলে একবার উচ্চারিত হবে। সাকিনের পাঠ হেযে (বানান) করে এবং মতন (রিডিং) পড়ে এমনভাবে মশক করবে, যাতে বলা দেখার সাথে সাথে পড়তে বা লিখতে পারা যায়।
ক, সাকিন পড়ার নিয়ম
আগে হরকত ওয়ালা হরফটির হরফ, তারপর হরকত, এর পরে সাকিনওয়ালা হরফটি উচ্চারণ করে পরে উচ্চারিত ধ্বনি পড়তে হবে।
অর্থাৎ | আলিফ (1)-এর উপর যবর (2) এবং বা (৩)-এর উপর সাকিন একত্রে মিলিত হয়েছে। এখানে হামযা () + যবর (-) বা (2) সাকিন = হাম (1) যবর (-) বা (৩) সাকিন = 3 আক্।।
| অথবা হাম্ (1) বা (2) যবর (2) 2 আব এভাবে পড়তে হবে। এইভাবে যের যেমন হামা (1) বা (3) যের = 3, ইব ও পেশের (হামঝাহ (i) বা (3) পেশ = উব
খ. যবয়ের সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা ইহা পড়ার নিয়ম হলাে। যেমন ঃ হাম বা যবর (2) আব, হামা তা যবর (31) আত্ ইত্যাদি।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
آب بث
خد ||
ظغعغ
كم ا مم )
كن ئي اين |
هئ
গ. যের-এর সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা ইহা পড়ার নিয়ম হলাে। যেমন ঃ হাঝা বা যের ইব, (৩), হাম তা যের ইত (3) ইত্যাদি।
د ډژ نیز ارز ازش اسش شض صضضظ طظ ظغ عغ |
كلنا لممم
|
ئ ين
جب
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ঘ, পেশ-এর সহিত সাকিন পাঠ শিক্ষা
| 5 fa با (أث). aram a sm ,4 (أ) 3al wela fay
: 12/< <I crm
all (
| دز در ارز از اش
ا ط | ظ | ع ع | افق | ك ا ل ا لم ا ممم |
و وه | هئ | | |
ঙ. হরকতের সহিত সাকিন পাঠ
-যবর আত্, প্রথমে হরফে ইরকত এবং পরের সাকিন পড়বে। ইহা পড়ার নিয়ম হলাে। যেমন ঃ হান্তা
او , SIG, 3G (أث) يه l SI-7 29, rais-core
></2
ث | ج | حخ
رج 53 2
راهرو 3
৪০
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
চ. শব্দের মাঝে সাকিন পাঠ
!
خوف |
إيمانا
جج اسقيني
تختی
جلح | صدر | برقی | اهدني |
| ابراهيم
ابلي أة | باو دا نور اشك في |
من أنبي
يتفق | تجري
قصر
عليهم رخمته
صبت | وانحر ويفطر له والفتح |
شت
خلفا
চতুর্থ সবকঃ টেনে দীর্ঘ স্বয়ে পড়ার নিয়ম পাঠ নির্দেশিকা
টেনে পড়া বা দীর্ঘ স্বরে পড়াকে আরবীতে মাদ্দ বলে। ইহা মােট ১০ প্রকার (তাজবিদ-এর খণ্ডে এর আলােচনা হবে)। এর মাদ্দে আসলির আলােচনা এখানে অতীব প্রয়ােজন বিধায় সংক্ষেপে আলােচনা ও উদাহরণ, উচ্চারণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। মাদ্দে আসলি বা তাবয়ী মাদ্দে ৬ অবস্থায় এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। এর মধ্যে ৩ জায়গা হল ! খাড়া যবর - খাড়া যের ও এ উল্টা পেশ। অপর ৩ জায়গা হল : যখন আলিফ খালি তার পূর্বের হরফে যবর (৬) , ইয়া সাকিন তার পূর্বের হরফে যের ) ও ওয়াও সাকিন তার পূর্বের হরফে পেশ (2) হবে তখন এই তিন জায়গাতে এক আলিফ করে টেনে পড়তে হবে।
(ক) খাড়া যবর, খাড়া যের উল্টো পেশ ১. খাড়া যবর (1)-এর সাহায্যে হরফ পাঠ ইহা পড়ার নিয়ম হলাে ঃ হান্দাইখাড়া যবর () আ-, বা খাড়া যবর (3) বা- ইত্যাদি।
৪১
- |
0 38
-
•0- “! •
৩
|
-
১| -
-
)- |
-
|
-
-
২. খাড়া যের (,)-এর সাহায্যে হরফ পাঠ ইহা পড়ার নিয়ম হলাে ঃ হায়া খাড়া যের ঈ, (), বা খাড়া যের বী () ইত্যাদি।
)- |
- -ঐ- | ৩-|
-
لي
+- এ- |
-
৩
|
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
O
|
|
|
شے
-|
|
-
-
-
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
cer ( ، ) -3 IZIGHJ اي .و 21 24
ইহা পড়ার নিয়ম হলাে ও হামা উল্টা পেশ উ (0), বা উল্টা পেশ
|
|
|
ث
|
ب ئاوازش
ض | ط | ظ |
|ي |
|
.
|
৪. নিম্নে শব্দের মাঝে পূর্বোক্ত সবকের উদাহরণ দেখানাে হলাে
এগুলাে ভালভাবে শিখবে, লিখবে, এভাবে পড়বে যেমন ঃ হামযাহ্ আয়, খা যবর খা, ওয়াও ইয়া খাড়া যবর ওয়া = আখাওয়া ইত্যাদি।
يحي
ماب
آدنی ایسعلی
آخوی
| على
بلی
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
تع
(খ) টেনে বা দীর্ঘশ্বরে পড়ার নিয়মের পাঠ
24,754
77) 31 Br ,(با ) -IRICAJ
Is fog ATI | C4 4 at antar aqq al
,اتی) ,
| ছা ওয়াও পেশ ছু (3) ইত্যাদি। শিক্ষকগণ ছাত্রদের আলিফ খালি ডাইনে যবর-এর পাঠ ৩ থেকে এ পর্যন্ত
পড়াবেন। যেমন ৫ ৬ তেমনিভাবে ইয়া সাকিন ডাইনে যের ও ওয়াও সাকিন ডাইনে পেশ ৩ থেকে ৪ পর্যন্ত পড়াবেন।
با اتی | و |
|--*
ها | و
وی
২. শব্দের সাথে টেনে পড়ার নিয়ম পাঠ
أبا اذنى اقوموا
بلی بابا به حجري قلوب
عليه
علمى
مثلي | أدعوا رؤنا
سراجا
فزدنی | سوك | ابنا | فزقي | علوم |
ولا
BB
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি।
পঞ্চম সবক ? তাশদীদ বা শাদ্দা-এর আলােচনা
পাঠ নির্দেশিকা ১. তাশদীদ বা মােশাদ্দা চিহ্ন হলাে { } এইটি।
২. যে হরফের উপর তাশদীদ হবে সে হরফটি দুইবার উচ্চারিত হবে। অর্থাৎ প্রথম তার পূর্বের হরফের সাথে। পরে সে নিজে অথবা তার পরের হরফে যদি সাকিন বা তাশদীদ থাকে তার সাথে মিলে উচ্চারিত হবে।
তাশদীদ প্রকৃতপক্ষে দুটি হরফ একটি করে লেখার জন্য ব্যবহার হয়। যেমন ঃ হাম্বা বাবের আব, বা-যবর বা (2) ইত্যাদি। এভাবে যের (-) ও পেশ ( 2 )-এর সহিত তাশদীদ পড়তে হবে। এ পাঠগুলাে প্রথমে বানান বা হেযে করে মুখস্থ করে লিখে পড়ে রিডিং বা মতন ভালভাবে মুখস্থ করবে। ক. যবরের সহিত তাশদীদের পাঠ শিক্ষা ও এভাবে পড়তে হবে যেমন ঃ | হামযাহ বা যবর আবৃ, বা যবর বা = আব্বা ইত্যাদি।
২ | ৩ | ৪ | | ৬,
در ارز ازس | ش |
ضط)
" | $| 75
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
8
খ. যের-এর সহিত তাশদীদের পাঠ শিক্ষা ও এভাবে পড়বে যেমন-হামযাহ বা যের ইব, বা যের বি = ইবৰি
ثجاجح | حخ
3.5
. ر. 3
, في
ئي ایی
গ. পেশ-এর সহিত তাশদীদের পাঠ শিক্ষা ও এভাবে পড়বে যেমন- । হামযা বা পেশ উব, বা পেশ বু= উবু
څ
ج
ث
س شش
رژ
غ
ظ ظ
ت در ط
ب
أ ها
ض
شص
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
با
8
(ঘ) শব্দ ও বাক্যের সহিত তাশদীদের পাঠ শিক্ষা
صف | الله | بالله | أن
من رژق | ممني | ملتی
. اني
ته که ت مسمه | |
و نه
! محبه
سجين
شقق سجين | للت| عشية | مبينة الم | أمين محكمة مدة
84
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ষষ্ঠ সবক ঃ হরকত, তানভীন, মাদ্দ, সাকিন ও তাশদীদ দ্বারা বাক্য পাঠ শিক্ষা
** فری
) alsl
ran ( = ي (
)
)mf
), aram (
fa(R 24 (
তৈরী করা হবে, এগুলাে প্রথমে হেযে (বানান) করে এবং পরে মতন (রিডিং) সহকারে মশক করতে হবে, যাতে দেখার সাথে সাথে বলতে পারা যায়।
নিম্নে বাক্য তৈরী করা হলাে।
أعود بالله من الشيطن الرجیم بسم الله المن الرحيم الحمد لله رب العلمين اهدنا الصراط المستقيم، قل هو الله أحده وهو على كل شيء قديره انا لله وانا اليه راجعون. اللهم
غفرلی وا ژمنی رب زدنی علما قال رب اشرح لي صدري ويسر لي أمري واحلل عقدة من لساني يفقهوا قوله وقل رب ارحمهما كما ربيني صغيرا هلا اله الا الله محمد رسول الله واشهدان لا اله الا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله السلام عليكم ورحمة الله وبرگا ه ه وعلیکم السلام ورحمة الله وبركاهه
৪৮
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
الله أكبر سبحان ربي العظيم م سمع الله لمن حمده ربنا لك الحمده سبحان ربي الأعلى هربنا أينا في الدنيا حسنة وفي الأخرة حسنة وقنا عذاب الناره قل ان صلاتي وتك ومحياي ومماتي لله رب العلمينه
অনুশীলনী
প্রশ্ন ১। পবিত্র কুরআনে কয় প্রকার স্বরচিহ্ন ব্যবহার হয়েছে সেগুলাে উদাহরণসহ লিখ। প্রশ্ন ২। হরকত দ্বারা হরফের উচ্চারণ লিখ ও বল।। প্রশ্ন ৩। হরকত দ্বারা দুই, তিন ও চার হরফের প্রত্যেকটি তিনটি করে শব্দ গঠন কর । প্রশ্ন ৪। তানভীন কাকে বলে ? হরফের মাঝে তানভীনের ব্যবহার দেখাও। প্রশ্ন ৫। সাকিন কাকে বলে? ইহা পড়ার নিয়ম বল ও লিখ এবং শব্দের মাঝে এর ব্যবহার দেখাও। প্রশ্ন ৬। তাশদীদ কাকে বলে? ইহা পড়ার নিয়ম বল ও লিখ এবং শব্দের মাঝে এর ব্যবহার দেখাও। প্রশ্ন ৭। বাংলায় আরবী হরফের উচ্চারণ ও স্বরচিহ্নের প্রতি চিহ্ন বল ও লিখ। প্রশ্ন ৮। সুন্দর হাতের লেখার জন্য আরবী শব্দ দ্বারা দশটি বাক্য লিখ ।
দ্বিতীয় খণ্ড
তাজবিদ শিক্ষা
যদি কেউ প্রথম খণ্ড সঠিকভাবে পড়ে তাহলে তার জন্য কুরআন শরীফ পড়া সহজ হয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় খণ্ড পড়ার পর সহীহ-শুদ্ধ করে কুরআন শরীফ পড়ার যােগ্যতা অর্জন করতে পারবে। সে জন্য
এখানে পবিত্র কুরআন পড়ার জন্য কতিপয় কায়দা বা নিয়ম সংযুক্ত করা হলাে।
| প্রথম অধ্যায় কতিপয় হরফ পড়ার নিয়ম
প্রথম সবক ঃ হা জমীর পড়ার নিয়ম ও উদাহরণ
পবিত্র কুরআন পড়ার সময় কখনও শব্দের শেষে হা (১) সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। এটাকে আরবীতে হায় জমির বলে । হায় জমির (০) অর্থাৎ নাম পুরুষের এক বচন পুং লিঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। হায় জমির পড়ার কতিপয় বিশেষ নিয়ম রয়েছে। তা হলাে ঃ হায় জমির (১)-এর উপর এবং তার আগে হরফে কি ধরনের হরকত ব্যবহৃত হয়েছে তা দেখে হায় জমির পড়তে হয়। যথাঃ
বর্ণনা
উদাহরণ ১. হায় জমিরে যদি পেশ (2) এবং এর পূর্বের
হরফে যদি যবর (2) বা পেশ (2) থাকে তবে হায় জমিরের শেষে একটি ওয়াও (,) যুক্ত হবে এবং তা এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে। কিন্তু ৩৯ নং সূরা যুমার-এর ৭ নং আয়াতে
_১এই বাক্যে ওয়াও () যুক্ত হবে। ।
উল্টা পেশ -এর স্থলে ব্যবহৃত হয়েছে।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
به - تم - جم
---
২. হায় জমিরের নিচে যদি যের থাকে এবং তার
পূর্বের হরফে যের হয় তবে তা ইয়া যুক্ত করে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে।
যেমন দেখাড়া । এর স্থলে ব্যবহৃত হয়েছে। খাড়া যের ৫-এর স্থলে ব্যবহৃত হয়েছে। ৩. হায় জমিরের পূর্বের হরফ যদি সাকিন হয়
তখন সেই হা-এর সাথে ওয়াও (9) অথবা ইয়া (5) কোন কিছু যুক্ত হবে না। কিন্তু
এর মধ্যে ডানের অক্ষর সাকিন হওয়া সত্ত্বেও উপরােক্ত নিয়ম থাকবে।
বরং হা-এর সাথে ইয়া মিলিয়ে পড়তে হবে । ৪. যদি হায় জমিরের পরে সাকিন হয় তখন সেই
হা-এর সাথে ওয়াও (,) অথবা ইয়া (s} মিলানাে যাবে না ।
৫
৩
وحده امارت - به الله له الرسول.
দ্বিতীয় সবকঃ রা ) হরফ পড়ার নিয়ম
রা (,) হরফটি পড়ার সময় নিয়ম অনুযায়ী দু ধরনের আওয়াজ বা স্বরে পড়া হয়। প্রথমত, রা (,)। পাের মােটা আওয়াজে, দ্বিতীয়ত রা (,) বারিক বা হালকা পাতলা আওয়াজে।
প্রথমত, পাের বা মােটা আওয়াজ পড়ার নিয়ম ঃ এ আওয়াজে উচ্চারণের সময় জিহ্বার গােড়ার অংশ উপরের দিকে কিছুটা উঠে যাবে। সে কারণে আওয়াজ কিছুটা গাম্ভীর এবং মােটা হবে।
নিম্নের নিয়মগুলােতে রা (,) পাের বা মােটা হবে
উদাহরণ
| রা (,) পাের পড়ার নিয়মাবলী ১. রা (,)-এর উপর যখন যবর হবে। ২. রা (,)-এর উপর যখন পেশ হবে।
رسول - رجل
فود - رسول
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
يرجعون يرفعون
أرجوا أرسل من ارتضی۔ رب ارجعون - ان مرتبتم
৩. রা (,) এ সাকিন এবং তার আগের হরফের
উপর যখন যবর হবে। ৪. রা {} এ সাকিন এবং তার আগের হরফে।
যখন পেশ হবে। ৫. রা (,) এ সাকিন এবং তার পূর্বের হরফে
যখন আজী যের হবে। ৬. রা (,) এ সাকিন এবং তার পূর্বের হরফে
যের আর রা (,) হরফের পরে হরফে একই। শব্দে ইস্তিলার যে কোন একটি হরফ
আসল । ৭, রা ,) এ যদি ওয়াকফ করা হয় তার পূর্বের
হরফে সাকিন এবং সাকিনের পূর্ব হরফে যবর অথবা পেশ হইলে । কিন্তু রা (,)-এর পূর্বে ইয়া সাকিন ব্যতীত ।
+
।
| .
. -
- -6;
- بلور
নােট ? ১. আজী শব্দের অর্থ কারণ অর্থাৎ আসলে যের ছিল না কিন্তু মিলিয়ে পড়ার (এই কারণে যের
হয়েছে) জন্যে যের হয়েছে । হরফে ইস্তিলা বলা হয় সে সমস্ত হরফকে, যা উচ্চারণ করার সময় জিহ্বা উপরের তালুর দিকে যায়। ইস্তিলার হরফ ৭টি। যথা ঃ - - - - ৮ - - ৩ এই সাতটি হরফকে তিনটি শব্দে এভাবে পড়তে হয়। যথা ঃ *- ht,
৫২
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
দ্বিতীয়ত রা (,) বারিক বা হালকা পাতলা আওয়াজে পড়া, এভাবে পড়ার কয়েকটি নিয়ম হলাে ?
উদাহরণ
| রা ) বারিক পড়ার নিয়মাবলী
১. রা (,) হরফের নিচে যের হলে। ২. রা (,) হরফে সাকিন এবং তার পূর্ব হরফে
যে আছলি (আসল) হলে।
৩. রা (,) হরফে ওয়াকফ করার সময় তার পূর্বে | | | ইয়া সাকিন হলে।
৪. রা (,) হরফে ওয়াকফ করার সময় তার পূর্বে
হরফে সাকিন এবং সাকিনের পূর্বে যের হলে। |
رجال - رز مؤقتا - فرعون ي- يو ځي
|
“*-*. };
-
তৃতীয় সবক ঃ আল্লাহ (jj) শব্দের লাম ) পড়ার নিয়ম
আল্লাহ (aJI) শব্দটি পড়তে বা লিখতে দুটি লাম (J) ব্যবহৃত হয়। এই দুটি লাম ()-কে তাশদীদ (২) চিহ্ন দিয়ে একটি লামে (J) লেখা হয়। এ লামটি {0} পড়ার সময় কখনও পাের আবার কখনও বারিক হয়। তা পড়ার নিয়ম নিম্নরূপঃ
আল্লাহ শব্দের লাম (0) পাের ও বারিক পড়ার নিয়ম
উদাহরণ ১. আল্লাহ ( 1) শব্দের লাম (J)-এর পূর্বের
ii, iii | হরফে যদি যবর হয়। ২. আল্লাহ্ (ii) শব্দের লামের (J) পূর্ব হরফে |
পেশ হইলে ।। | দ্বিতীয়ত, লাম (3) বারিক পড়ার নিয়মঃ আল্লাহ শব্দের লামের (} পূর্বে যের হলে।
, উল্লেখ্য যে, ইমাম হাছ-এর মতে আল্লাহ্ (a) শব্দের লাম (J} ব্যতীত অন্য শব্দের লাম [) বারিক পড়তে হবে।
واستغفر الله
الله بسم الله
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
চতুর্থ সবক ও আলিফ-লাম পড়ার নিয়ম
আরবী ভাষায় শব্দের প্রথমে যে অলিফ-লাম {0} হয় তাহা কোন সময় স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করিয়া পড়িতে হয়, আবার কোন সময় তাহা উচ্চারণ ছাড়াই পড়িতে হয়। আলিফ-লাম (0) কোন্ অবস্থায় উচ্চারণ করিতে হইবে এবং কোন অবস্থায় উচ্চারণ করিতে হইবে না, তাহার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলাে ঃ
১. আলিফ-লাম (JI)-এর পরে যদি হুরূফে কামারী হইতে কোন একটি হরফ আসে তখন আলিফ লামকে স্পষ্ট উচ্চারণ করিয়া পড়িতে হইবে। হুরূফে ক্বামারী ১৫টি। যথাঃ
| ৬ . . . . . . . .. .. . .। আলিফ-লাম (0) পড়ার উদাহরণ হলাে ঃ - - ইত্যাদি। | ২. আলিফ-লাম {0})-এর পরে যদি হুরূফে শামসী হইতে কোনাে একটি হরফ আসে, তখন আলিফ লাম-কে স্পষ্ট উচ্চারণ করিতে হইবে না বরং তা উহ্য থাকিবে। অর্থাৎ লিখিত থাকিবে কিন্তু উচ্চারিত হইবে না। হুরূফে শামসী ১৪টি। যথাঃ
. J. ৬. ৮.১৬.১৮. . . . . . ১. .. আলিফ-লাম (J) না পড়িবার অর্থাৎ উহ্য থাকার উদাহরণ হলাে ঃ 'Ji. ..] ইত্যাদি।
পঞ্চম সবক ও আলিফে যায়িদা পড়ার নিয়ম পরিচয় আলিফে যায়িদার অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত আলিফ। অর্থাৎ যে আলিফ শব্দের ভিতরে লিখতে আসে, পড়ার সময় উহ্য থাকে বা যবর যুক্ত হরফের পরে লিখিত হয় কিন্তু পড়ার সময় তা টেনে পড়তে হয় না, উহ্য থাকে, তাকে আলিকে যায়িদা বলা হয় । এই যবর অবস্থায় আলিফ মাদ্দের হরফ হলেও তাকে লম্বা স্বরে টেনে পড়া যাবে না। যেমন ঃ 6 J/- * . }
উল্লেখ্য যে, এর আলিফ মাত্র তার জায়গায় পড়া যায়। যথা - - ULt
ষষ্ঠ সবক ? তা-য়ে তানীস পড়ার নিয়ম
যে তা' (৩) মুয়ান্নাস অর্থাৎ স্ত্রীলিঙ্গ বােঝানাের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে, তাকে তা-য়ে তানীস বলে। এই তা-য়ে তানীস দুই প্রকার। যথা ঃ গােল ‘তা’ (5) এবং লম্বা তা (c)। এটা পড়ার নিয়ম হলাে ঃ
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
১. গােল ‘তা' {ঃ)-এর উপর ওয়াকফ করার সময় তাকে ‘হা' (০) হাওয়াযের ন্যায় পড়তে হবে। যেমন ঃ (গিশাওয়াতুন) এই তা-য়ের উপর ওয়াকফ করলে তখন ,2: (গিশাওয়াহ) হবে। আর যদি ওয়াকফ করিতে না হয়, তখন তাকে তা-ই (1) পড়তে হবে। যেমন ঃ , L . ,LaJI
عيشة راضيه
২. লম্বা তা-কে () সর্ব অবস্থায় তা-ই (৩) পড়তে হবে। যেমন ঃ
সপ্তম সবক ঃ নূনে কুত্বনী পড়ার নিয়ম
তানভীনের পরে জম অথবা তাশদীদ থাকলে উক্ত তানভীনের মধ্যে লুকায়িত নূনকে যের দিয়ে মিলিয়ে স্পষ্ট স্বরে পড়তে হয়। আর একেই নূনে কুত্বনী বলা হয়। যেমন : ।
১১।
অষ্টম সবক ঃ কুলকুলা
কৃল কলা বা জী---ম (}, দা...ল (১}, ত্ব- (৮), বা- (c), ক... (5) হরফগুলি পড়ার নিয়মঃ
কুল কুলা হলাে আওয়াজের একটা বিশেষ ভঙ্গি অর্থাৎ কোন বস্তু যখন নিচে পড়ে আবার উপরের দিকে ধাবিত হয় তখন যে আওয়াজটা হয় আরবীতে কতগুলাে হরফ আছে মুখের মধ্যে উচ্চারণের সময় সে ধরনের ভঙ্গি করাকে কল কলা বলে। কুল কুলার সময় আওয়াজের শেষে যবরের উচ্চারণ হবে।
কলা করার নিয়ম ঃ যখন এই পাঁচটি হরফের (3. ৮.১.৫.) যে কোন একটি শব্দের মাঝে সাকিন হয়। এ সময় কিছুটা কম কৃল করা হয়। যেমনঃ
বা-
(9)
يبلون
জীম---ম
(৫)।
تجهلون يدخلون
দা---ল
(১)
ত্ব-
(৮)
قطير
কৃ---ফ
(3)
.
يقطعون
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
অথবা এই পাঁচটি হরফের যে কোন একটি ওয়াফ করা হয়। এ সময় পূর্ণ কুল কুলা হয়। যেমনঃ ।
বা ()
حساب
জীম---ম
(৫)।
দা---ল
(১)
ত্ব-
(৮)
صراط |
خلاق
ক--- (3)
নবম সবক ও ওয়াজিব গুন্না পড়ার নিয়ম ওয়াজিব গুন্না বা তাশদীদযুক্ত মিম () ও নূন (3) পড়ার নিয়মঃ
কুরআন শরিফ পড়ার সময় বিভিন্ন হরফ কিছু কিছু জায়গায় নাকের মধ্যে চন্দ্রবিন্দুর আওয়াজে বা গুন্না করে পড়তে হয়। এর মধ্যে উপরােক্ত দুটি হরফের কোন একটিতে যদি তাশদীদ হয় তখন সে হরফটিতে গুন্না করে পড়া ওয়াজেব। যেমনঃ
-م
لما . عم
-ن
ان. جهنم . جئت
|
দশম সবক ও সাতার (১) বিবরণ সাকতা {S) হলাে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করার সময় শ্বাসটাকে প্রবাহিত করে আওয়াজটাকে কেটে দেওয়া (আওয়াজটা বন্ধ করে নিশ্বাস বা শ্বাস চালু রাখা)। সাকতা পবিত্র কুরআনের চারটি জায়গায় রয়েছে। যেমন ঃ
. বর্ণনা।
উদাহরণ ১. ৩৬ নং সূরা কাহাফের প্রথম আয়াতে ৬ শব্দে -এর আলিফে। | ২. ১৮ নং সূরা ইয়াসীনের ৫২ নং আয়াত ৫ শব্দে আলিফে।
৩. ৭৫ নং সূরা কিয়ামার ২৭ নং আয়াত : শব্দের নূনে ৩ | ৪. ৭৩ নং সূরা মুতাফফিফীনের ৩২ নং আয়াতে
- শব্দের (1) লামে
عواجا قيما من مرقدنا
من راق
بلان
দ্বিতীয় অধ্যায়
নূন সাকিন (3) ও তানভীন (৩)-এর বিবরণ
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকালে এ কায়দাগুলাে জেনে তিলাওয়াত করা খুবই প্রয়ােজন। এগুলাে পড়ার সময় বিচিত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। সে জন্য এখানে কায়দাগুলাে দেয়া হলাে।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সময় শব্দের মধ্যে যখন নূন হরফটির উপর সাকিন হবে অথবা অন্য কোন হরফে তানভীন হবে তখন অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এখানে পড়ার একটা বিশেষ নিয়ম আছে।
নূন হরফে সাকিন হলে অথবা যম যুক্ত নূন ()-কে নূন সাকিন বলে এবং দুই যবর (), দুই যের () ও দুই পেশ (*)-কে তানভীন বলে।
কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের সময় শব্দের মাঝে যখন নূন হরফে সাকিন হয় অথবা কোন হরফে তানভীন হয় তখন দেখতে হবে ঐ নূন সাকিন এবং তানভীনের পরে কোন্ হরফটি বসেছে। তার উপর নির্ভর করবে পড়া বা আওয়াজের বিভিন্নতা। এক্ষেত্রে নূন সাকিন (3) ও তানভীন (—) পড়ার নিয়ম হলাে চারটি। যথাঃ
১. ইযহার (%), ২. ইক্লাব/কৃলব (/ 3161), ৩. ইদৃগাম (43), ৪. ইখফা (a)
প্রথম সবকঃ ইহারের (1) বিবরণ
ইজহার ( 6) শব্দের অর্থ স্পষ্ট। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকালে এই নিয়মের আওতায় আসিলে সেখানে গুন্না, ইখফা বা অস্পষ্ট এবং পরিবর্তন ছাড়া পড়াকে ইজহার বলে।
ইযহারের হরফ ঃ ইযহারের হরফ হলাে ছয়টি। যথা ঃ - - - - - -
ইযহারের নিয়ম ও নূন সাকিন () ও তানভীন ()-এর পরে যদি ইজহারের ছয়টি হরফের যে কোন একটি হরফ আসে তাহলে ঐ নূন সাকিন বা তানভীনকে স্পষ্ট করে পড়ার নাম ইজহার।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
من أجل . لمن
ইযহারের উদাহরণ ১. নূন সাকিন (3)-এর পরে ইযহারের ছয়টি
হরফ (যথাঃ ২.৫.১ •)-এর যে কোন
একটি হরফ আসিলে। ২. তানভীন )-এর পরে ইযহারের ছয়টি হরফ |
(যথাঃ ২.৫.১ +)-এর যে কোন একটি হরফ আসিলে।
১৫.১
র ছয়টি হরফa s৭. &...]
عظيم . ال غيور
দ্বিতীয় সবকঃ ইকবালব
। এil)-এর বিবরণ
|
কালব (5) শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে পড়া। কালবের হরফ একটি। যথাঃ বা (৬) কালবের নিয়মনূন সাকিন (3) বা তানভীন (2)-এর পরে যদি বা (৩) হরফটি আসে, তাহলে ঐ নূন সাকিন (3) বা তানভীন (৩)-কে মীম (,)-এর দ্বারা পরিবর্তন করে পড়ার নাম ক্বালব ।
কালবের উদাহরণ | নূন সাকিনের (3) পরে বা (9) আসিলে। তানভীনের (5) পরে বা (৩) আসিলে ।
|
كتب - من مباش سمیع، بصی
তৃতীয় সবক ও ইদগামের (3) বিবরণ
کرم لون
ইদগাম (1) শব্দের অর্থ মিলান বা সংযােজিত করা। ইদগামের হরফ ছয়টি। যথা ঃ ইদগামের নিয়মঃ নূন সাকিন (3) বা তানভীনের (৩) পরে যদি ইদগামের ছয়টি হরফের যে কোন একটি হরফ আসে তাহলে সেখানে মিলিয়ে পড়ার নাম ইদগাম।
ইদগাম দুইভাগে বিভক্ত। যথা ঃ ১. ইদগামে বান্না (1,31)
| ২. ইদগামে বেগুন্না ( 30) ইগামে বাগুন্না নূন সাকিন বা তানভীনের পরে যদি ইদগামের এই চারটি হরফের (3,y...s) যে কোন একটি হরফ আসে তাহলে সেখানে স্নার সহিত মিলায়ে পড়ার নাম ইদগামে বাগুন্না।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ইদগামে বান্নার উদাহরণ
১. নূন সাকিন (3)-এর পরে ইগামে বান্নার
চারটি হরফ (যথা ১... s)-এর যে
কোন একটি হরফ আসিলে । ২. তানভীন { )-এর পরে ইদৃগামে বাগুন্নার | .
চারটি হরফ (যথাঃ ১...)-এর যে কোন একটি হরফ আসিলে
s
: 61.51:53.s
.
ইগামে বেগুন্না ও নূন সাকিনের () বা তানভীনের () পরে যদি ইদ্গামের এই দুটি হরফের যে কোন একটি আসে তাহলে সেখানে গুন্না ব্যতীত মিলিয়ে পড়ার নাম ইদগামে বেগুন্না,
ইদগামে বেন্নার উদাহরণ ১. নূন সাকিন (৩)-এর পরে ইদগামে বেন্নার
4. দু’টি হরফ (যথা ঃ , • J)-এর যে কোন একটি হরফ আসিলে তানভীন (*)-এর পরে ইদৃগামে বান্নার দুটি হরফ (যথাঃ ১. J)-এর যে কোন একটি হরফ আসিলে
رزقالكم . من راق
উল্লেখ্য যে, ইদগাম হওয়ার জন্য শর্ত হলাে ঃ দুটি শব্দের মাঝে মিলান। যদি একই শব্দের মধ্যে নূন সাকিন (:) পরে যদি ইদগামের হরফ যথা ১.... ও আসে তাহলে সেখানে ইদগামের নিয়ম খাটবে না বা ইদগাম হবে না। যেমনঃ
نان. دنيان .
صنوان . قذ
চতুর্থ সবকঃ ইখফা (I)-এর বিবরণ 1) শব্দের অর্থ গােপন করা বা অস্পষ্ট করা। ইখফার হরফ হলাে ১৫টি। যথা ঃ
ط ظ ف ق ك
ض
ص
ت ث ج د ذ ز س ش
ইখফার ( 21) নিয়ম ঃ যদি নুন সাকিন (3) বা তানভীনের (*) পরে ইখফার ১৫টি হরফের যে কোন একটি হরফ আসে তাহলে ঐ নূন সাকিন (3) বা তানভীন (*)-কে অস্পষ্ট স্বরে গুন্না করে পড়ার নাম। ইখফা।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ইফার উদাহরণ
م ر
له به
:
যে কোন একটি হরফ আসিলে
[1
لن تفلون . من ثمرة . من جاء . من دبر. Xer craft * ج- (3) fer? ? . منذرون. گ
. ينسلون . من شگر. من ت.ث. ج . د . د . ز . س . 5 7aT) 34 صيام . لمن ضل - ينطق . ينظرون . ينفقون 7-( ش - ص - ض - ط - ظ. ف . ق . ك
. من قبل - منگم تم تجهلون قولا ثقيلا . صعیداجزا . گاستا |
)-7 * 3ala Scrafta
Sanela ( دهاقا ۔ ظل ذي نفسا زكية. ولا يريد ات . ث. ج . د.ذ. . ز . س :7er) 98 ش شهید ۔ قوما صالحين - عذابا ضعا . aa-( - ش - ص - ض - ط - ظ. ف. ق . ك صعيد اطبا - ظ ظليلا . قوم فاسقون. رزقا قالوا . بدم گذب.
যে কোন একটি হরফ আসিলে ।
তৃতীয় অধ্যায়
মীম সাকিনের (?) বিবরণ
মী---ম ,) হরফের উপর সাকিন (2) হইলে তাকে মী---ম সাকিন (:) বলে। কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করাকালীন অনেক সময় মী---ম (,) হরফের উপর সাকীন (2) দেখা যায়। এ অবস্থায় অবশ্যই বিশেষ কিছু নিয়মে পড়তে হবে।
মী---ম (১) সাকিন পড়ার নিয়ম হলাে ৩টি। যথা :
১. মী---ম সাকিনে (?) ইখফা (? )। ২. মী---ম সাকিনে (2) ইমাম ( 1])। ৩. মী---ম সাকিনে () ইযহার।
| ১। (২) মী---ম সাকিনে ইখফার এর বিবরণ ও মী---ম সাকিনের পরে বা’ () হরফ আসিলে মী---ম গুন্নাহর সহিত পড়াকে (৫৫) বলে। যেমন ঃ ১৬ | ২। (2) মী---ম সাকিনে ইদগাম (439) মী---ম সাকিনের পরে ‘মী---ম’ (,) হরফ আসিলে প্রথম মীমকে দ্বিতীয় মীমটির সাথে মিলিয়ে গুন্নার সহিত পড়াকে বলে। যেমন ঃ h t
৩। (2) মী---ম সাকিনে ইহার (4) ঃ মী---ম সাকিনের পরে ‘বা’ (9) ও মী---ম (,) এই দুই হরফ ছাড়া অন্য বাকী ২৭টি হরফের যে কোন একটি আসিলে তখন স্পষ্ট করে পড়াকে ইযহার বলে। যেমনঃ 1.226, ইত্যাদি।
চতুর্থ অধ্যায়
মাদ ()-এর আলােচনা
.
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সময় বিভিন্ন স্থানে টেনে টেনে বা দীর্ঘ স্বরে পড়তে হয়। এই টেনে পড়া বা দীর্ঘ স্বরে পড়াকে মান্দ বলে। এই মাদ্দ সম্পর্কে সম্যক বা সঠিক জ্ঞান ও ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। মান্দ কোথাও দীর্ঘ আবার কোথাও হ্রাস করে পড়তে হয়। সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। তা না হলে অর্থে পরিবর্তন হয়ে গুনাহ হয়।
মাদ্দ (১০) শব্দের অর্থ টানা বা দীর্ঘ করা। মাদ্দের হরফ হলাে তিনটি। যথা ঃ ৪-,-।
মাদ্দের নিয়ম হলাে এই তিনটি হরফের মধ্যে যখন আলিফ (1) খালি, এর পূর্বের অক্ষরের উপর যখন যবর (2) হবে। যেমন ঃ 5 6. t
| ইয়া (3) সাকিন, এর পূর্বের অক্ষরের নিচে যখন যের (-) হবে। যেমন ... এবং ওয়াও () সাকিন, এর পূর্বের হরফের উপরে যখন পেশ (2) হবে। যথা ঃ . . এ সমস্ত অবস্থায় এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে।
মাদ্দ প্রধানত ৭ (সাত) প্রকার। যথা ঃ ১. মান্দে আলী বা তৃবীয়ী। ২. মান্দে মুত্তাসীল। ৩. মান্দে মুনফাসিল। ৪. মাদ্দে আরজী। ৫. মাদ্দে লীন। ৬. মাদ্দে বদল ও ৭. মান্দে লাযিম।
১. মাদ্দে আছলি বা তৃবীয়ী ও উপরােক্ত নিয়মানুযায়ী মাদ্দের হরফের পরে সাকিন (2) বা হামা () আসিলে ইহাকে মাদ্দে বৃবীয়ী বা আছলি বলে। যেমন ঃ ১৫.. .
২. মাজে মুত্তাসিল ঃ যদি মাদ্দের অক্ষরের পরে একই শব্দে হামযা (৫) আসে। মান্দ চার আলিফ দীর্ঘ স্বরে পড়তে হয়। এই মাদ্দের জন্য এ () ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ-. .
৩. মাদ্দে মুনফাসিল ও প্রথম শব্দের শেষে মাদ্দের হরফ এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথমে হাম (2) আছলে। এ মাদ্দের জন্য এ ধরনের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। ইহা তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ 1 )
৪. মান্দে আরজী ও মান্দের হরফের পরে যদি আরজী সাকিন হয় অর্থাৎ ওয়াকফ করার কারণে সাকিন | হয়, এই মাদ্দ তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ 3 .
* ৫. মাজে লীন ঃ ওয়াও () অথবা ইয়া ) সাকিন এবং এর পূর্বে যদি যবর (2) হয়, এই মাদ্দ এক
আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ ১..
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
৬. মদ্দে বদল ঃ যদি মাদ্দের হরফের ডানের হরফ হামা (,) হয়, ইমাম হাছ-এর মতে এই মাদ্দ এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমন ঃ ০.৫
৭. মাদ্দে লাযিম ও মাদ্দের হরফের পরে যদি আছলি সাকিন হয়, তাকে মাদ্দে মাযিম বলে। এই মাদ্দ চার প্রকার। যথা ঃ (ক) মাদ্দে লাযিম কলমী মুছাক্কাল, (খ) মাদ্দে লাযিম হরফি মুছাক্কাল, (গ) মাদ্দে লাযিম কলমী মুখাফাফ, (ঘ) মাদ্দে লাযিম হরফি মুখাফফাফ।
(ক) মাদ্দে লাযিম কলমী মুছাক্কাল ঃ যদি এক লফযের (শব্দের) মধ্যে মাদ্দ-এর অক্ষরের পরে তাশদীদ যুক্ত সাকিন অক্ষর হয় তখন ইহাকে মাদ্দে লাযিম কালমী (শব্দ) মুছাকাল (e) বলে। যেমন :
اجك . دابة . و لا الضالين . تامونی
(খ) মাদ্দে লাযিম হাফী মুছাকাল ঃ যদি কোন কালেমা (শব্দ) না হইয়া শুধু অক্ষরের (3) মধ্যে মাদ্দ-এর অক্ষরের পরে তাশদীদ (2) যুক্ত সাকিন অক্ষর হয় তখন এই মাদ্দকে মান্দে লাষিম হরফী মুছাক্কাল বলে। যেমনঃ .J . ।
(গ) মাদ্দে লাযিম কলমী মুখাফফাফ ঃ যদি কোন কালেমা বা শব্দের মধ্যে মাদ্দ-এর হরফের পরে জ যম যুক্ত সাকিন হয় তখন এই মাদ্দকে মাদ্দে লাযিম কলমী মুখাফফাফ বলে। যেমনঃ
(ঘ) মান্দে লাষিম হরফী মুখাফাফ ঃ যদি কালেমা বা শব্দ না হইয়া শুধু অক্ষরের মধ্যে মাদ্দের অক্ষরের পরে সাকিন অক্ষর হয় তখন এই মিন্দকে মান্দে লাষিম হরফী মুখাফাফ বলে। ইহা তিন আলিফ পরিমাণ দীর্ঘ করিয়া পড়িতে হয়। যেমন : '
3 3 , 0 | মাদ্দে লাযিম হরফী মুছাকাল ও মুখাফফাফ-এর জন্য আটটি অক্ষর বা হরফ ব্যবহৃত হয়। যেমন ঃ ১ ১. • •• ••• এর সমষ্টি Act
ইহাদের প্রত্যেকটি হরফ তিনটি অক্ষর দ্বারা উচ্চারিত হয়। যেমনঃ এ (কাফ) উচ্চারণ করিতে হইলে কাফ, আলিফ, ফা এই তিনটি অক্ষরের দরকার। তন্মধ্যে মাঝের । (আলিফ) অক্ষরটি মাদ্দ-এর অক্ষর ও শেষের ফা অক্ষরটি জযম যুক্ত তাই নিয়ম অনুসারে এ (কাফ) হরফের । (আলিফ)-এর মধ্যে হরফে মান্দে লাযিম হরফি মুখাফাফ হয়েছে। তিনটি অক্ষর দ্বারা উচ্চারিত হরফ ছাড়া যে সমস্ত হরফ আলিফের সহিত আসে ঐগুলিকে মাদ্দে তবীয়ীর মধ্যে গণ্য করা হইবে। যেমন ঃ...!'
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
(ক) মান্দের উদাহরণ মক
১. মাদ্দে আছলি বা ত্ববীয়ী, এক আলিফ টান
|
Gr
-ii
২. মান্দে মুত্তাসিল বা ওয়াজিব, চার আলিফ টান
৩. মান্দে মুনফাসিল, তিন আলিফ টান
৪. মাদ্দে আরজী, তিন আলিফ টান
৫. মাদ্দে লীন, তিন আলিফ টানা জায়েয
32... 5. .
i... }
৬. মাদ্দে বদল, এক আলিফ টান
৭. মাদ্দে লাযিম কূলমী মুছাকাল, তিন আলিফ টান।
৮. মাদ্দে লাযিম হরফী মুছাক্কাল, তিন আলিফ টান
دابة . ولا الضالين
المطم النعسق لك من ص ل
৯. মাদ্দে লাযিম কূলমী মুখাফাফ, তিন আলিফ টান
|
১০. মাদ্দে লাযিম হরফি মুখাফাফ, তিন আলিফ টান
(খ) হরফে মুক্বাত্ত্বায়াত-এর বিবরণ ও উদাহরণ ও পবিত্র কুরআনে ব্যবহৃত কতগুলাে বিচ্ছিন্ন হরফকে হরফে মুক্বাত্ত্বাত বলে।
উল্লেখ্য যে, পবিত্র কুরআনে ১৪টি হরফ দ্বারা হরফে মুকাত্ত্বায়াত ব্যবহৃত হয়েছে যেমন-... ৬.৮.৮.......... এগুলাের সমষ্টি হলাে- এhi L১৯টি সূরার প্রথমে মুকাত্ত্বায়াত এভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ঃ . . . . . . . ..) ১৭. . ....১৮ এর মধ্যে ৭টি সূরার প্রথমে ব্যবহৃত হয়েছে।
| (গ) ওয়াকফের বিবরণ পবিত্র কুরআন শরিফ তিলাওয়াতকালে কোথাও ওয়াকফ করে পড়তে হবে আবার কোথাও ওয়াকফ করা যাবে না। এজন্য বিভিন্ন প্রকারের চিহ্ন (বিরাম চিহ্ন) বা সংকেত ব্যবহার করা হয়েছে। সে সব সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা সকলেরই প্রয়ােজন। সেই চিহ্নগুলাে সম্পর্কে নিম্নে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
৬
পবিত্র কুআন শিক্ষা পদ্ধতি
| (0 -~)
Tওয়ায়ে
ওয়াকফের উদাহরণ ক্রমিক নং চিহ্নসমূহ | চিহ্নসমূহের নাম ওয়াকফ, কা/না করার বিবরণ
ওয়াকফে তাম
আয়াত শেষে এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখানে
ছাড়/থামা উভয় অবস্থায় পড়া যায়। | ২ | ) মী---ম | ওয়াকফে লাযিম এখানে ওয়াকফ বা থামিতে হইবে নচেৎ অর্থের পরিবর্তন
হয়ে যাবে। ৩ {6)ত্ব- | ওয়াফে মঙ্গক
এখানে ওয়াফ করা উত্তম। ৪| (c) জী---ম | ওয়াফে জায়েয ওয়াকফ করা না করা উভয় জায়েয়, তবে ওয়াফ করা
উত্তম। ৫] ;) ঝা- ওয়াফে মুজাওয়াজ |ওয়াফ করা না করা উভয় জায়েয, তবে ওয়াকফ করা
উত্তম। ৬ ) ছয়া--- | ওয়াকফে মুরাখা
ওয়াকফ না করা উত্তম। | ৭|{} ব্যয়াফা | ওয়াফে আমর
অবশ্যই ওয়াক্ফ করতে হবে। | ৮ | (d) কা--- | ওয়াফে কীল আলাইহি ওয়াকফ না করা ভাল।
৯T (1) শা লা ওয়াফ আলাইহি ওয়াফ করা যাবে না। অনেক সময় করাও যাবে।
৯ হ 1 ওয়াক্ফ ওয়াহুলে আওলা। মিলিয়ে পড়া ভাল। | ১১ (a) সাকতা| ওয়াকফে সাকতা । খাস চালু রেখে আওয়াজ কেটে দেওয়া।
১২ ] (,) ওয়াফা ওয়াফা
ওয়াফ করা যায়। | ৩ | aa) |মা-অনাকা
এই চিহ্নগুলাে শব্দের উভয়দিকে থাকলে তখন যে কোন একদিকে
থামতে হবে। অন্য দিকে মিলিয়ে পড়তে হবে। | ১৪ ] (1 6)ওয়াফে নবী (সা) । এখানে থামা উত্তম। | ১৫ 1 , ওয়াকফে গুফান থামলে গুনা মাফ হয়।
৬| ss ii, | ওয়াফে জিবরাঈল থামলে বরকত হয়।
পারার এক-চতুর্থাংশ। | ৯ {i} | নিফ
পারার অর্ধেক। | ১৯| ()
পারার এক-তৃতীয়াংশ।
اربع، ودا
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
৩৫
বিঃ দ্রঃ পবিত্র কুরআনে ৭ মঞ্জিল আছে, অর্থাৎ হযরত ওসমান (রা) শুক্রবারে কুরআন তিলাওয়াত শুরু করে বৃহস্পতিবার শেষ করতে তিনি ১ দিনে যতটুকু পড়তেন সেটাকে এক মঞ্জিল বলে।।
অনুশীলনী
প্রশ্ন ১। প্রশ্ন ২।। প্রশ্ন ৩।
প্রশ্ন ৪।
তাজবীদ কাকে বলে? হায়জমীর কাকে বলে? ইহা পড়ার নিয়ম কি উদাহরণসহ আলােচনা কর। রা হরফ পড়ার নিয়ম উদাহরণসহ আলােচনা কর। আল্লাহ্র লাম পড়ার নিয়ম উদাহরণসহ আলােচনা কর। আলিফে জায়িদা কাকে বলে এবং ইহা পড়ার নিয়ম উদাহরণসহ আলােচনা কর। কু-কলা কাকে বলে? এর হরফ কতটি এবং ইহা পড়ার নিয়ম উদাহরণসহ আলােচনা কর। নূন-সাকিন ও তানভীন কাকে বলে? ইহা পড়ার নিয়ম কয়টি ও কি কি? উদাহরণসহ বিস্তারিত আলােচনা কর। ইযহার, কব, ইদগাম ও ইখফা কাকে বলে? ইহাদের কোন্টির ইরফ কতটি প্রত্যেকটি বিস্তারিত উদাহরণসহ আলােচনা কর। মাদ্দ কাকে বলে ? মাদ্দের হরফ কয়টি ও কি কি? উহা কত প্রকার ও কি কি আলােচনা কর।
যে কোন পাঁচ প্রকারের মাদ্দ উদাহরণসহ আলােচনা কর। হরফে মুক্বাত্ত্বায়াত কাকে বলে? এর কয়টি হরফ ? ওয়াকফের চিহ্নগুলাে বিবরণসহ লিখ ও বল।
প্রশ্ন ৮।
প্রশ্ন ৯। প্রশ্ন ১০। প্রশ্ন ১১। প্রশ্ন ১২।
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি -
তৃতীয় খণ্ড ৪ সূরা পাঠ
এখানে বানান সহকারে হেজে, মতন ও মশক করার পদ্ধতি শিক্ষা দেয়া হলাে। যে কেউ এ খণ্ড পর্যন্ত সমাপ্ত করবে সে যথারীতি পবিত্র কুরআন সহীহ-শুদ্ধ করে পড়তে পারবে।
প্রথম সবক এ অধ্যায়ে সূরা ফাতিহা এক আয়াত বানান সহকারে শিক্ষা দেয়া হলাে। প্রথমে বানান বা হেজে করে পড়বে। এরপর মতন ও মশক করবে। যেমন
ঃjj, a shi JI হামযাহ + ম + যবর = আল্
হা + মীম + যবর = হাম, (এখানে ইযহার বা স্পষ্ট করে পড়বে)। - আলহামদু + দাল + পেশ + দু = আলহামদু ajj - * কয়েকবার পড়বে। ১ লাম + ম + যের = লিল * লাম + খাড়া যবর = লা, (মান্দে আহুলি এক আলিফ টানতে হবে) = লিল্লা ১ হা + যের = হি (a) লিল্লাহি i.i.av - কয়েকবার পড়বে।
0; - রা + বা + যবর = রব (,) বা + লাম + যের = বিল, L= রাবিবল, - , কয়েকবার পড়বে।
+ আইন + খাড়া যবর + আ (মান্দে আছলি এক আলিফ টান) ১ লা + যবর = লা, আলা
মীম + ইয়া + যের = মী, • (মাদ্দে আছলি এক আলিফ টান) ১ নূন + যবর = না (এখানে ওয়াফ করলে এক আলিফ টান)
। রাব্বিল আলামীনা।
11, bj - আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীনা। এভাবে হেজে বা বানান ও মতন বা রিডিং সহকারে মশক করে মুখস্থ করে পড়তে হবে সূরা ফিল পর্যন্ত এই দশটি সূরা ।
ما
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
کا
اور جا
عہ رحم
- 11...
.
:
كم
II
.
"
T"
ਕਿਤਾ- ਪਪਪਪਪਪਪਪ ਪਪਪਪ
چوالهالي الحيوه الدور العلمين الوطن الملك يووالي اياك نعبد واياك نستعين فاهيتا القراط المستقیم صراط التي انعم عليهم
رالمغوپ عليه ولاالالين
GUਹਿਣਪਹਿDਪਹਿਲਪੁਰ
eeeee كما ereeeeeeeeeeeeeeeeeeee
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
2
J2 J
12 (
:
در
n:
ਟਰ(
ਪ
والا sleef area JIR ق بلات بنور الله الرحمن الرجو قلنافورت الاسهم الاسهاله الناس في | من شر الوواس لا الحاسة الكښي يوو رق |
دور الایة من الجو والكاية
الفي ege Taffe affe II/
دل
والله الرحمن الجيو فن آورټ القلق من شاق وين رايق انا
وين اللي في العقيون كاسيا اختن
-
الم هم
ਪਪਪ
قل هوالله الله المدة ليلة لا ولم |
يؤكدوا گه له كؤاا
ਪਪਪਪਪ
تیدان لپ تب ما أغنى عنه مال وما ک ه من اراد ات کهبة امراة حالة |
ਹੀ
. م
.
. .
|
|
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি
ਪਪ bਪ
ਪਪਪਪਪਪਪਪਪਹਿ
:
الطب في جيهاب تن تي
والتمر galef Arafa4IJIR/۹
د ی
حياه الين الجو
اجا الو الفرات الاس بدون فيدين : البر و اجاقی پدرتك واشتق ا ا تاباة
=
=
= =
=
من النبی صلی الله علیہ رمل
قل يايها الكافرون
أبد ماه ون 2
اولا
اغيثونا ابن واتا غاية تاعبٹو
لا اعبدون ماغب کدیگؤولی دین
الكرة gal erBaff affairs/
5 تک
والله الرحمن الرجير نا اعطيك الگوهفضلتك وانا شايك هواك
لن 22 222 222 222 222 222 222 222 222 eeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeee222/22
pਪਿੰਹਪੁਹਪਹਿਣJUਪਹਿਹus
امل
آيت الزی گب پالنقدية التي ي اليتيو
على طعام المتيكين ت ل الزيع
eeeeeeeeeeeeeeeeeeeeee
e
Jeeeeeeeeeeee
পবিত্র কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি ۹۰
eee Geeeeeeeeeeefreefreeeeeeeee
صلاتهم ساهون النيران ويمنعون الماعونة ج
আয়াত $ সূরাতু কুরাইশিন মাক্কিয়্যাহ সুess
كار][27pepe fleepleperf222222222222222222222222222222222222222
يش ير الله الرحمن الرجو لائل ريش القيم رحلة التو والقيف فيدوا تب هذا الي الذي أطعم من جوامنهم من خونة ع التركي ل ك بأصح الفيل آلي كيد هرفي تضليل العلیه طیرا ابابیل توهم بحجارة من سجيل فجعلهم عيناكولية
ਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹਹ
, 3o
bob8(E)
/اس-3000- o08
All-
ereeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeے
No comments