Header Ads

Header ADS

শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ

 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আজ এমন সময় তার জন্মদিন এসেছে, যখন করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আক্রান্ত। তাই যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান। ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের এক কালরাতে হায়েনারা তার পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারা দুই বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে সপরিবারে ঢাকায় আসেন। পরে ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।

১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে থাকাকালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও সজিব ওয়াজেদ জয় নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে গুলি করে হত্যা করে। ওই সময় দেশে ফেরার পরিবেশ না থাকায় শেখ হাসিনা ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। পরে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর একই বছর ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। মাঝে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা।

এদিকে, কোভিড-১৯ এর মহামারির আতঙ্কের মধ্যেই বাংলাদেশের এই মহান নেত্রীর জন্মদিন হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নিজ দলের নেতাকর্মী এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ কামনা এবং শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাবেন। মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে সব মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.