Header Ads

Header ADS

তাকলীদ ও হাদীস

 মাযহাব কি ও কেন?

তাকলীদ ও হাদীস আল-কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের পাশাপাশি অসংখ্য হাদীস পেশ করা যেতে পারে তাকলীদের সমর্থনে। তবে সংকুচিত পরিসরের কথা বিবেচনা করে এখানে আমরা কয়েকটি মাত্র হাদীস কিঞ্চিত আলােচনাসহ পেশ করছি। প্রথম হাদীসঃ

ع تيقة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول اللوصلى الله

فات ودا بالبنين من عليہ وستم إتيلا دي مابقالي في

در راه الترمذي وابن ماجه راحمد) ی

آلج تگی که ب

হযরত হােজাইফা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানি না; আর কত দিন তােমাদের মাঝে আমি বেঁচে থাকবে। তবে আমার পরে তােমরা আবু বকর ও ওমর এ দুজনের ইকতিদা কারে যাবে।

এখানে $1-3) শব্দটির ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, ধর্মীয় আনুগত্যের অর্থেই শুধু এর ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রশাসনিক আনুগত্যের অর্থে নয়।

সুপ্রসিদ্ধ আরবী ভাষাবিদ ও আভিধানিক আল্লামা ইবনে মঞ্জুর লিখেছেন

ماتت به

القوة والقد

অর্থাৎ যার সুন্নত বা তরীকা তুমি অনুসরণ করবে তাকেই শুধু কুদওয়া বলা যাবে। কিছুদুর পর তিনি আরাে লিখেছেন । ) অর্থাৎ 12 ও । শব্দ দুটি সমার্থক। উভয়ের অর্থ হলাে 'আদর্শ',

দ্বীন ও শরীয়তের ক্ষেত্রে নবী ওলীগণের আনুগত্যের নির্দেশ দিতে গিয়ে কোরআনুল করীমেও এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে

-

-

--

-

-

لسان العرب /ج۲/ص/۳۱ اد


أولئك الذين ه ی اله داهم ايه رانغام، ۹۰)

"এরাই হলেন হেদায়াপ্রাপ্ত। সুতরাং তােমরা এঁদেরই 'ইকতিদা করাে।

তদুপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত সম্পর্কিত দীসেও একই অর্থে এর ব্যবহার এসেছে।

تیری آبرنگی رضی الله ثه پلوتو شول الহাله صلى الله ليتر وتم الا متن بلو ا تی رضى الله عنه،

| আবু বকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের ইকতিদা করছিলেন আর পিছনের সবাই আবু বকরের সালাতের’ ইকতিদা করছিলাে।

‘মুসনাদে আহমদ’ গ্রন্থে হযরত আবু ওয়াইলের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে

، قال جلس من الخلابة اليتيبة ابن عثمان كل

ا

ء آن أدع في الكب هذا، فقال لقد همم فيليس لاباء الأتها بين الاس، قال قلت : كي ذي كك

بهما۔ قد بك صا حباك كم قد يك فقال لها الا

আমি শায়বা বিন উসমানের কাছে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, হযরত ওমর ঠিক তােমার জায়গাটাতে বসেই বলেছিলেন, আমার ইচ্ছা হয়, কাবাঘরে গচ্ছিত সমুদয় সােনা চাঁদি মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেই। শায়বা বলেন, আমি বললাম, সে অধিকার তাে আপনার নেই। কেননা আপনার আগের দু’জন তা করেননি, শুনে তিনি বললেন, এ দুজনের ইকতেদা অবশ্যই করা উচিত।

আরাে অসংখ্য হাদীসে এই অর্থে $1 । শব্দটির ব্যবহার এসেছে। বলাবাহুল্য যে, দ্বীনী বিষয়ে কারাে ইকতিদা করার নামই হলাে তাকলীদ। দ্বিতীয় হাদীসঃ

বােখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ


করেছেন

انتزاعا تيره من العباد ولن يقب

الي إن الله يتم اليه بقبض العلماء ، حتى إذا لم يبق عاااتين الا وشا جها ، ئا اتوار علم ضرارا

বান্দাদের হৃদয় থেকে ছিনিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আল্লাহ পাক ইলমের বিলুপ্তি ঘটাবেন না। বরং আলেম সম্প্রদায়কে উঠিয়ে নিয়ে ইলমের বিলুপ্তি ঘটাবেন। একজন আলিমও যখন থাকবে না মানুষ তখন জাহিল মুখকেই পথপ্রদর্শকের মর্যাদা দিয়ে বসবে। আর তারা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অজ্ঞতা প্রসূত ফতােয়া দিয়ে নিজেরাও গােমরাহ হবে অন্যদেরও গােমরাহ করবে।

আলােচ্য হাদীসে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় ফতােয়া প্রদানকে আলিমগণের অন্যতম ধর্মীয় দায়িত্ব বলে ঘােষণা করা হয়েছে। সুতরাং স্বাভাবিক কারণেই। সর্বসাধারণের কর্তব্য হবে শরীয়তের সকল ক্ষেত্রে আলিমগণের ফতােয়া হুবহু অনুসরণ করে যাওয়া। বলুন দেখি; তাকলীদ কি ভিন্ন কিছু?

এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক দুর্যোগপূর্ণ সময়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যখন কোথাও কোন আলিম খুজে পাওয়া যাবে না। তাহলে সেই নাযুক মুহুর্তে বিগত যুগের হক্কানী আলিম মুজতাহিদগণের তাকলীদ ও অনুসরণ ছাড়া দ্বীনের উপর অবিচল থাকার আর কি উপায় হতে পারে?

মােটকথা; আলােচ্য হাদীসের সারমর্ম এই যে, ইজতিহাদের যােগ্যতা সম্পন্ন আলিমগণ যতদিন দুনিয়ায় বেঁচে থাকবেন ততদিন তাঁদের কাছেই মাসায়েল জেনে নিতে হবে। কিন্তু যখন তাদের কেউ বেঁচে থাকবেন না তখন স্বঘােষিত মুজতাহিদদের দরবারে ভিড় না করে বিগত যুগের মুজতাহিদ আলিমগণের তাকলীদ করাই অপরিহার্য কর্তব্য। তৃতীয় হাদীসঃ

আবু দাউদ শরীফে হযরত আবু হােরায়রা (রাঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইরশাদ বর্ণিত হয়েছে

https://quaranerktha,blogspot,om


(পরিপক্ক ইলম ছাড়া কোন বিষয়ে ফতােয়া দিলে সে পাপ ফতােয়াদাতার ঘাড়েই চাপবে।

এ হাদীসও তাকলীদের সপক্ষে এক মজবুত দলীল। কেননা তাকলীদ শরীয়ত অনুমােদিত না হলে অজ্ঞতাপ্রসূত ফতােয়ার সকল দায়দায়িত্ব মুফতি সাহেবের একার ঘাড়ে না চাপিয়ে উভয়ের ঘাড়ে সমানভাবে চাপানােটাই বরং যুক্তিযুক্ত হতাে। অজ্ঞতাপ্রসূত ফতােয়াদানকারী মুফতী সাহেব এবং চোখ বুজে সে ফতােয়া অনুসরণকারী মুকাল্লিদ উভয়েই যেখানে সমান অপরাধী, সেখানে একজন বেকসুর খালাস পাবে কোন সুবাদে?

মােটকথা; আলােচ্য হাদীসের আলােকে সাধারণ লােকের কর্তব্য শুধু যােগ্য ও বিজ্ঞ কোন আলিমের কাছে মাসায়েল জেনে নেওয়া। এর পরের সব দায়িত্ব উক্ত আলিমের উপরেই বর্তাবে। প্রশ্নকারীর উপর নয়। আর এটাই হলাে তাকলীদের খােলাসা কথা! চতুর্থ হাদীসঃ

হযরত ইবরাহীম ইবনে আব্দুর রহমান আল আযায়ী কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

خلني دوله و عه تتي يحمل هذا اليتم من التالين وانتحال المطين وتأويل الجاهلين، (رواه البيهقى)

সুযােগ্য উত্তরসূরীরা পূর্বসূরীদের কাছ থেকে এই ইলম গ্রহণ করবে এবং অতিরঞ্জনকারীদের অতিরঞ্জন, বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার এবং জাহিলদের ভুল ব্যাখ্যা থেকে এর হিফাজত করবে।

শরীয়তের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মুখ জাহিলদের তাবীল ও ভুল ব্যাখ্যাদানের কঠোর নিন্দা করে এখানে বলা হয়েছে যে, মুখদের হাত থেকে ইলমের হিফাজত হচ্ছে প্রত্যেক যুগের হক্কানী আলিমগণের পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং কোরআন সুন্নাহর নির্ভুল অনুসরণের জন্য তাঁদেরই শরণাপন্ন হতে হবে। এই সরল পথ ছেড়ে তথাকথিত ইজতিহাদের নামে যারা কোরআন-সুন্নাহর

https://quaranerktha,blogspot,om


মাযহাব কি ও কেন? বিকৃত ব্যাখ্যাদানের অমার্জনীয় অপরাধে লিপ্ত হবে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুনই হবে শেষ ঠিকানা।

বলাবাহল্য যে, কোরআন-সুন্নাহর তাবীল বা ভুল ব্যাখ্যা এমন ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব যার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অল্প বিস্তর বুদ্ধিশুদ্ধি রয়েছে। কিন্তু হাদীস শরীফে তাদেরকেও জাহিল আখ্যায়িত করায় প্রমাণিত হয় যে, কোরআন সুন্নাহ থেকে আহকাম ও মাসায়েল ইস্তিঘাত করার জন্য আরবী ভাষা-জ্ঞানই যথেষ্ট নয়, ইজতিহাদী প্রজ্ঞারও প্রয়ােজন। পঞ্চম হাদীসঃ

বােখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবু সাইদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, দু'একজন বিশিষ্ট ছাহাবী জামাতের পিছনে এসে শরীক হতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে যথাসময়ে মসজিদে এসে প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের তাকিদ দিয়ে ইরশাদ করলেন

گم

إيتاليات بگم من

তােমরা আমাকে দেখে) আমার ইকতিদা করাে আর তােমাদের পরবতীরা তোমাদের দেখে ইকতিদা করবে।

আলােচ্য হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা হাফেজ ইবনে হাজার লিখেছেন।

قد ما تعاني أحكام الية ، ليت منهم الاون دم گذلك باعهم إلى .. انقاض البا۔

অনেকের মতে হাদীসের মর্ম এই যে, তােমরা আমার কাছ থেকে শরীয়তের আহকাম শিখে রাখাে, কেননা পরবর্তীরা তােমাদের কাছ থেকে এবং আরাে পরবতীরা তাদের কাছ থেকে শিখবে। আর এ ধারা কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

পক্ষান্তরে ইমাম বুখারীসহ কারাে কারাে মতে হাদীসের অর্থ এই যে, সালাতে প্রথম কাতারের বিশিষ্ট ছাহাবাগণ রাসূলের ইকতিদা করবেন আর পরবর্তী কাতারের সাধারণ ছাহাবাগণ তাদের ইকতিদা করবেন। যে ব্যাখ্যাই

https://quaranerktha,blogspot,om




গ্রহণ করা হােক তাকলীদ যে শরীয়তস্বীকৃত একটি চিরন্তন প্রয়ােজন তাতে , আর সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। ষষ্ঠ হাদীসঃ

হযরত সাহল বিন মুআয তার বাবার কাছ থেকে রেওয়ায়েত করেছেন।

ي

إنا منه أنه قال ياسرول ال ال جی نمانیا و

م اثير بصلاتور اصلی بغله هاني

جع الخ مسند احمد ج ۳ ، ص ۶۳۹ عمله حثی

জনৈক মহিলা ছাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে হাজির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার স্বামী জিহাদে গিয়েছেন। তিনি থাকতে আমি তাঁর সালাত ও অন্যান্য কাজ অনুসরণ করতাম। এখন তার ফিরে আসা পর্যন্ত এমন কোন আমল আমাকে বাতলে দিন যা তার আমলের সমমর্যাদায় আমাকে পৌছে দিবে।

আলােচ্য হাদীসের সনদ সমালােচনায় ইমাম হায়ছামী বলেন

ইমাম আহমদ বর্ণিত সনদে যাৰ্বান ইবনে ফায়েদ রয়েছেন। কিছু সংখ্যক হাদীস বিশারদের মতে তিনি দুর্বল হলেও ইমাম আবু হাতেম তাকে নির্ভরযােগ্য বলে রায় দিয়েছেন। সনদের অন্যান্যরা বিশ্বস্ত।

| দেখুন, মহিলা ছাহাবী সুস্পষ্ট ভাষায় স্বীয় সালাতসহ সকল আমলের ইকতিদা করার ঘােষণা দিচ্ছেন, অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে কোন রকম অসম্মতি প্রকাশ করেননি।

ছাহাবাযুগে মুক্ততাকলীদঃ নবীজীর প্রিয় ছাহাবাগণের পূণ্যযুগেও কোরআন-সুন্নাহর আলােকে সুপ্রমাণিত 'তাকলীদ’ এর উপর ব্যাপক আমল বিদ্যমান ছিলাে। ছাহাবাগণের মধ্যে যাদের ইলম অর্জনের পর্যাপ্ত সময় ও সুযােগ ছিলাে না কিংবা যাদের ইজতিহাদ প্রয়ােগের ক্ষমতা ছিলাে না। তারা নির্দ্বিধায় ফকীহ ও মুজতাহিদ ছাহাবাগণের শরণাপন্ন হয়ে তাদের ইজতিহাদ মােতাবেক আমল করে যেতেন।

https://quaranerktha,blogspot,om


মােটকথা, ছাহাবাগণের পূণ্যযুগে মুক্ততাকলীদ ও ব্যক্তিতাকলীদ উভয়েরই প্রচলন ছিলাে।

বিশেষকরে মুক্ততাকলীদের এত অসংখ্য নযীর রয়েছে যে, তার সংক্ষিপ্ত সংগ্রহও এক বৃহৎ গ্রন্থের আকার ধারণ করবে। পরিসরের কথা বিবেচনা করে কয়েকটি মাত্র নযীর এখানে আমরা তুলে ধরবাে। প্রথম নযীরঃ

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন

عن ابن عبار الطب عمر بن الخطابا لاس بالجابية

بن العين الطالبات ائی بن وقال ايها الناس من أراد أن

یابن ابي من

با من أراد أن يسأل عن الابيض

من اراد ان آراد آن تسأل عن الفقير يأتي ما بين كل يسأل عن المال لين الله الله جلى كه ليا وقاما ، رواه الطبراني في الأوسط)

জাবিয়া নামক স্থানে হযরত ওমর একবার খুৎবা দিতে গিয়ে বললেন, লোেক সকল! কোরআন (ইলমুল কিরাত) সম্পর্কে তােমাদের কোন প্রশ্ন থাকলে উবাই ইবনে কা'বের কাছে এবং ফারায়েয সম্পর্কে কিছু জানতে হলে জায়েদ বিন সাবেতের কাছে আর ফিকাহ সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকলে মু'আয বিন জাবালের কাছে যাবে। তবে অর্থ সম্পদ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে আমার কাছেই আসবে। কেননা আল্লাহ আমাকে এর বন্টন ও তত্ত্বাবধানের কাজে নিযুক্ত করেছেন। | এ খুত্বায় হযরত ওমর তাফসীর, ফিকাহ ও ফারাইজ বিষয়ে সকলকে বিশিষ্ট তিনজন ছাহাবার মতামত অনুসরণের উপদেশ দিয়েছেন। আর এটা বলাইবাহুল্য যে, মাসায়েলের উৎস ও দলিল বােঝার যােগ্যতা সবার থাকে না। সুতরাং খলীফার নির্দেশের অর্থ হলাে; প্রয়ােজনীয় যােগ্যতাসম্পন্ন লােকেরা তিন ছাহাবার খিদমতে গিয়ে মাসায়েল ও দালায়েল (সিদ্ধান্ত ও উৎস) উভয়ের ইলম


https://quaranerktha,blogspot,om


হাসিল করবে। আর যাদের সে যােগ্যতা নেই তারা শুধু মাসায়েলের ইলম হাসিল করে সে মােতাবেক আমল করবে। তাকলীদও এর অতিরিক্ত কিছু নয়। তাই ছাহাবা যুগে আমরা দেখতে পাই, যাদের ইজতিহাদী যােগ্যতা ছিলাে না তারা নিঃসংকোচে ফকীহ ও মুজতাহিদ ছাহাবাগণের শরণাপন্ন হতেন এবং বিনা দলিলেই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সে মােতাবেক আমল করে যেতেন। দ্বিতীয় নযীরঃ

হযরত সালিম বিন আব্দুল্লাহ বলেন

اه يلعبن عن سالم بن عبدالله عن عبد اللون الجليگرى له التي على الكل ائى أجل يضعه اچ

له الأم، فگر ذلك عبد اللبن من تهیه، الحين

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে একবার মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হলাে। প্রথম জন দ্বিতীয় জনের কাছে মেয়াদী ঋণের পাওনাদার। আর সে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে পরিশােধের শর্তে আংশিক ঋণ মওকুফ করে দিতে সম্মত হয়েছে। (এ ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ কি?) হযরত ইবনে ওমর প্রতিকূল মনােভাব প্রকাশ করে তা নাকচ করে দিলেন।

এ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ নির্দেশ সম্বলিত কোন মরফু হাদীস না থাকায় নিশ্চয়ই ধরে নেয়া যায় যে, এটা হযরত ইবনে ওমরের নিজস্ব ইজতিহাদ। অথচ তিনি নিজে যেমন তাঁর সিদ্ধান্তের অনুকূলে কোন দলিল পেশ করেননি, তেমনি প্রশ্নকারীও তা তলব করেনি। আর শরীয়তের পরিভাষায় বিনা দলিলে মুজতাহিদের সিদ্ধান্ত মােতাবেক আমল করার নামই হলাে তাকলীদ।।

তৃতীয় নযীরঃ

হযরত আবদুর রহমান বলেন

عن عبد الرحمن قال سألت محمد بن سیرین عن دخول الحمام فقال كان عمر بن الخطاب يكرهه،


https://quaranerktha,blogspot,om



মুহাম্মদ ইবনে সীরীনকে আমি হাম্মাম খানায় গােসলের বৈধতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তরে শুধু তিনি বললেন, হ্যরত ওমর এটা অপসন্দ করতেন।

দেখুন; মুহাম্মদ ইবনে সীরীন প্রশ্নকারীর জবাবে হাদীস-দলিল উল্লেখ না করে হযরত ওমরের অপছন্দের কথা জানিয়ে দেয়াই যথেষ্ট মনে করছেন। অথচ এ সম্পর্কে এমনকি হযরত ওমর বর্ণিত মরফু হাদীসও রয়েছে। চতুর্থ নষীরঃ

عن سلمان بن یاران با ابوب الأنصار خرج حاائی إذا كان بالازية من طقم اضل واجله وانه لا م على

گ ذلك له قال عمر بن الخطاب مربن الخطاب يوم ال

الكتابة وضع مايض ابن قداقللت، اد ا اد الجج واهي ماتيسرمن الهدي

আবু আইয়ুব আনসারী (রঃ) একবার হজ্জ সফরে রওয়ানা হলেন। কিন্তু মক্কার পথে ‘নাযিয়া নামক স্থানে তার সওয়ারী খােয়া গেলাে। ফলে জিলহজ্জের দশ তারিখে (হজ্জ হয়ে যাওয়ার পর তিনি হযরত ওমরের খিদমতে এসে পৌছলেন। ঘটনা শুনে হযরত ওমর বললেন। এখন তুমি ওমরা করে নাও। এভাবে আপাততঃ হজের এহরাম থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে। তবে আগামী বছর সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানীসহ হজ্জ আদায় করে নিও। এখানেও দেখা যাচ্ছে; হযরত ওমর (রাঃ) প্রয়ােজনীয় দলিল উল্লেখ না করে শুধু ফতােয়া বা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন। অন্য দিকে হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)ও খলিফার ইলম ও প্রজ্ঞার উপর পূর্ণ আস্থার কারণে বিনা দলিলেই সন্তুষ্টচিত্তে তার সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন।

পঞ্চম নযীরঃ

হযরত মুসআব বিন সাআদ বলেন

درقالات آبی ا اصلى في المجبر تن واته ب ب عن

في البيت أطال الكوع و الركوع والسجود الله واذا السجود والضارة لت يا أباه إدايت في المجلاجت

امم تم اد ايت في البيت أطلت قال يا با، رواه الطبراني في الكبير دجاله رجال الصحيح۔

আমার বাবা সাআদ বিন আবু ওয়াক্কাস মসজিদে সালাত পড়ার সময় পরিপূর্ণ অথচ সংক্ষিপ্ত রুকু সিজদা করতেন। কিন্তু ঘরে তিনি দীর্ঘ রুকু সিজদা সহ প্রলম্বিত সালাত পড়তেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ছেলে! আমরা ইমাম বলে আমাদের ইকতিদা করা হয়। সুতরাং আমাদের দীর্ঘ সালাত দেখে ওরাও তা জরুরী মনে করবে। ফলে সালাত তথা গােটা শরীয়ত তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।)

এ রেওয়ায়েত প্রমাণ করে যে, সাধারণ মানুষ ছাহাবাগণের বাণী ও বক্তব্যের সাথে সাথে তাদের কর্ম ও আচরণেরও ইকতিদা করতাে। তাই নিজেদের খুটিনাটি আমল সম্পর্কেও তারা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতেন। বলাবাহুল্য যে, কারাে আমল দেখে ইকতিদা করার ক্ষেত্রে দলিল প্রমাণ তলব করার কোন প্রশ্নই আসে না।

ষষ্ঠ নবীরঃ

মুআত্তা ইমাম মালেকে বর্ণিত আছে

إن من الخطاب رأي على طلحة بن عبيد اللوامبوا همه، فقال عمر : ماهذا الرب البر با طلحة قال

ماهر، فقال طلحه بن محيي اللو، یا آمبر اليمنيين

https://quaranerktha,blogspot,om


ت جاه انكم ايها الهايته قیری بیگم الاس، فلا رأى هذا البلقال إن طلحة بن عبيد تکان یلبس البنية البته في الامر با ایها الله شيئا من هذه الاب الصبة (مسنداحمد ج- ۱/ص ۹۲)

হযরত ওমর (রাঃ) তালহা বিন ওবায়দুল্লাহকে একবার ইহরাম অবস্থায় রঙ্গীন কাপড় পরতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন। রংগানাে কাপড় পরেছাে যে? হযরত তালহা বললেন, আমীরুল মুমেনীন! এতে তাে কোন সুগন্ধী নেই। (আর রংগানাে কাপড়ে সুবাস না থাকলে ইহরাম অবস্থায় তা পরতে আপত্তি থাকার কথা নয়।) হযরত ওমর তখন তাকে বললেন, তালহা! তােমরা হলে ইমাম। সাধারণ মানুষ তােমাদের সব কাজের ইকতিদা করে থাকে। কোন অজ্ঞ লােক এ অবস্থায় তােমাকে দেখলেই বলবে, তালহা বিন উবায়দুল্লাহ ইহরাম অবস্থায় রংগানাে কাপড় পরতেন। (অজ্ঞতাবশতঃ সুবাসহীন ও সুবাসিত সবধরনের কাপড়ই তারা তখন পরা শুরু করবে। সুতরাং এ ধরনের কাপড় তােমরা পরাে

না।

সপ্তম নীরঃ

হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) কে একবার বিশেষ ধরনের মােজা পরতে দেখে হযরত ওমর (রাঃ) বলেছিলেন

عمت عليك الأنتهما، قائی اتنا انظر الاس إليك قارن ببك رالاستیعاب، ج- ۲ - ص - ۳۱۵)

তােমাকে কসম দিয়ে বলছি, মােজা জোড়া খুলে ফেলল। কেননা আমার আশংকা, মানুষ তােমাকে দেখে তােমার ইকতিদা শুরু করবে।

উপরের তিনটি ক্ষেত্রে সুস্পষ্টরূপে প্রমাণ করে যে, ইলম ও ফিকহের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট মর্যাদার অধীকারী ছাহাবাগণের সিদ্ধান্ত ও ফতােয়ার পাশাপাশি তাদের কর্ম ও আমলেরও তাকলীদ করা হতাে। এ জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়েও একে অপরকে তারা অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের তাকীদ দিতেন।

https://quaranerktha,blogspot,om


হযরত আম্মার বিন ইয়াসির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে কুফা পাঠানাের প্রাক্কালে কুফাবাসীদের নামে লেখা এক চিঠিতে হযরত ওমর বলেছেন

ي ت تبت الیکه این یابی آیا، بالون م رد مار دینی را، وهما من الجابر من اصحاب رسول الله

من أهل به راته وا بهاوا مامن قولهما صلی الله علو

আমার বিন য়াসিরকে শাসক এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদেকে শিক্ষক ও পরামর্শদাতারূপে আমি তােমাদের কাছে পাঠাচ্ছি। এরা বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী। সুতরাং তােমরা এদের ইকতিদা করবে এবং যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবে। নবম নযীরঃ

হযরত সালেম বিন আব্দুল্লাহ বলেন

لايأخ الإمام ، قال سألت القايمن محمد عن کا ا ع

ت اسی تای بهم ان قلت قد ذلك قال: إن تت

تدای بهم ، كان القاسم ممن لايقرأ أناس

باب القرائة الى الامام -) (مرطا أمام و

হযরত ইবনে ওমর ইমামের পিছনে কখনাে কিরাত পড়তেন না। কাসিম বিন মুহাম্মদকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তুমি ইচ্ছা করলে পড়তে পারাে আবার না পড়ারও অবকাশ আছে। কেননা আমাদের অনুকরণীয় যারা তাঁরা কেউ পড়েছেন কেউ পড়েননি। অথচ কাসেম বিন মুহাম্মদ নিজে ইমামের পিছনে কেরাত পড়ার বিরােধী ছিলেন।

| দেখুন; মদিনার ‘সাত ফকীহের অন্যতম বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত কাসিম বিন মুহাম্মদ নিজে ইমামের পিছনে কিরাত পড়ার বিরােধী হয়েও অন্যকে উভয় আমলের উদার অনুমতি দিচ্ছেন। এতে দ্ব্যর্থহীনভাবে একথাই প্রমাণিত

https://quaranerktha,blogspot,om



হয় যে, দলিলের বিভিন্নতার কারণে মুজতাহিদগণের মাঝে মতভিন্নতা দেখা দিলে বিশুদ্ধ নিয়তে (মতভিন্নতার সুযােগে সুবিধা লাভের মতলবে নয়) যে কোন এক মুজতাহিদের ইকতিদা করা যেতে পারে। দশম নযীরঃ

কানযুল উম্মাল গ্রন্থে তাবকাতে ইবনে সাআদের বরাতে বর্ণিত হয়েছে

شن الي

أنه سأله سجل أتشرب من ماء هذه القائية الي في المسير انها صدقة، قال الكئ قد يرب آبوتگی

من بقايير أو سد فمه (کنزالعمال، ۲۔ ۳، ص - ۳۹۸۰)

হযরত হাসান (রাঃ) কে একবার বলা হলাে; মসজিদে রক্ষিত ঐ সিকায়া । পান পাত্র) থেকে আপনি পানি পান করছেন, অথচ তা সদকার সামগ্রী। হযরত হাসান (তিরস্কারের স্বরে বললেন, থামাে হে। আবু বকর ও ওমর উম্মে সাআদের সিকায়া থেকে পানি পান করেছেন। দেখুন; আত্মপক্ষ সমর্থনে হযরত হাসান (রাঃ) খলীফাদ্বয়ের আমল ভিন্ন অন্য কোন দলিল পেশ করার প্রয়ােজনীয়তা বােধ করছেন না। আসলে তিনি তাদের তাকলীদ করছিলেন।

সংক্ষিপ্ত পরিসরের কথা বিবেচনা করে মাত্র অল্প কয়েকটি নযীর এখানে আমরা পেশ করলাম। এ ধরনের আরাে অসংখ্য নযীর আপনি পেতে পারেনমুআত্তা মালেক, কিতাবুল আসার লিল ইমাম আবু হানিফা, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, শরহে মায়ানিল আছার লিত্তাহাবী এবং মাতালেবে আলিয়া লি-ইবনে হাজার প্রভৃতি গ্রন্থে।

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম লিখেছেন;

الين حطت عنهم التي من أصحاب سول الله صلى

و ژن تماما بن ل وامة اله لیر و ماهی

একশ ত্রিশজন ছাহাবীর ফতােয়া আমাদের কাছে সংরক্ষিত অবস্থায় এসে পৌছেছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ছাহাবীর পাশাপাশি মহিলা ছাহাবীও রয়েছেন।

اعلام الموتين الا من القيم : ج1 ص/۹، المرأة - الا

https://quaranerktha,blogspot,om



No comments

Powered by Blogger.